
গল্প। প্রতীকী ছবি
এরপর কী হলো, জানেন? পুলিশ আমাকে এমন মারটা দিলো, আমি ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে দৌড়াতে লাগলাম। ঠিক এভাবে বলে একটু নুয়ে আলতো করে একটা হাত রাখল ডান পায়ে। তারপর বাঁ হাতের ছড়িটা শূন্যে তুলে অদ্ভুত ভঙ্গিতে টেনে টেনে কিছুদূর দৌড়ে গেল লোকটি।
সামনের প্রতিটা মানুষ হো হো করে হেসে ওঠে। কেউ কেউ পেটে হাত দিয়ে বসে পড়েছে। প্রতিটি দৃশ্যেই হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ছে তারা। অনেকেই মোবাইল বের করে ভিডিও করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়বে নিশ্চয়ই। মানুষ এখন সবকিছু অন্যদের দেখাতে চায়।
পোশাক-আশাকে চার্লি চ্যাপলিনের মতো লোকটি। বাটারফ্লাই গোঁফ, চাপা কোট, বড় ঢোলাঢালা প্যান্ট, লম্বা জুতা, মাথায় বাউলার হ্যাট। হাতের ছড়িটা অবশ্য সাইজের তুলনায় একটু বড়। নিজেকে দর্শকদের সামনে আরও হাস্যাস্পদ করে তুলতে সাহায্য করে লম্বা ছড়িটি।
আলাদা করে কোনো গল্প-স্ক্রিপ্ট ভাবতে হয় না লোকটিকে। নিজের গল্পগুলোই সে নানা অঙ্গভঙ্গি করে দেখায়। সে খেয়াল করেছে, যা তার কাছে নিজের করুণ গল্প, মানুষজন তাতে বেশ মজা পায়।
এবং এভাবেই তার সংসারের পাঁচটি পেটের ক্ষুধা মেটে।
দর্শকরা এখনো হাসছে। ঠা ঠা হাসি দেখে লোকটি ভাবে, নদীর ঢেউকেও বোধ হয় তীরের কাছে এমন অট্টহাসি মনে হয়। তীরও প্রতিনিয়ত ভেঙে ভেঙে যায় এমন হাসির ধাক্কায়।