আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আসনগুলোর সীমানার খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ খসড়ার ওপর সংশ্লিষ্ট এলাকার যেকোনো ব্যক্তির দাবি-আপত্তি থাকলে আগামী ১৯ মার্চের (২০ দিন) মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে আরও বছরখানেক সময় লাগবে। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। তাই আমরা অপেক্ষা তো করতে পারছি না। তারা খসড়া যেটা দিয়েছে সেটা আমলে নিয়েছি। তবে প্রশাসনিক অখণ্ডতা এবং ভৌগলিক বিষয়টাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।

সাবেক ওই ইসি সচিব বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া চূড়ান্ত। কালকের মধ্যে গেজেট হয়ে যাবে। এখানে নতুন কিছুই নেই। ২০১৮ সালে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটাই অক্ষুণ্ন রয়েছে। শুধু প্রশাসনিক কারণে নামের পরিবর্তন হয়েছে অথবা প্রশাসনিক বিভক্তি যেগুলো হয়েছে, সেগুলো পুরনো নাম বাদ দিয়ে নতুন নাম দিয়ে করা হয়েছে। কোনো পরিবর্তন নেই। সম্ভবত পাঁচ-ছয়টা এ ধরনের হতে পারে। কমিশন অনুমোদন করেছে। এখন সচিব এটি গেজেট করবেন।

এটা প্রকাশ করার পর যদি জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় সমস্যা মনে করেন, ২০ দিন সময় দেব, তারা আবেদন করতে পারবেন। প্রত্যেকটি আবেদনই আমরা শুনানি করবো। তাদের বক্তব্য যদি সঠিক হয়, কেউ যদি বিরোধিতা না করে এবং আমাদের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে তাদের বক্তব্য যৌক্তিক, তখন হয়তো আমরা পরিবর্তন আনতে পারি। এছাড়া কোনো পরিবর্তন হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আগে একটা উপজেলা ছিল এখন দুইটা হয়েছে। এমন ক্ষেত্রে আমরা নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করেছি। আর কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। কোনো রাজনীতিবিদ বা যে কেউ এই ক্ষেত্রে সীমানা পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর আরো বলেন, দরখাস্ত করলে সময় দেবো। সেদিন আসবেন তারা। বক্তব্য যৌক্তিক হলে মেনে নেবো। যাই হোক না কেন জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করবো। ইতোমধ্যে যেসব আবেদন পড়েছে, বেশির ভাগই এসেছে পরিবর্তন না করার জন্য।