
ছবি: সংগৃহীত
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) জটিলতায় ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ভোট দিতে পারেননি।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে কলাবাগান লেক সার্কাস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট দিতে উপস্থিত হন তিনি। বিভিন্নভাবে চেষ্টার পরও তিনি ভোট দিতে পারেননি। পরে বেলা বেলা ১১টা ৫ মিনিটে তিনি ভোটকেন্দ্র থেকে চলে যান।
প্রথমে ছবিযুক্ত তালিকা দেখে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে বাইরে রাখা প্রার্থীর গাড়ি থেকে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসা হয়। এতেও কাজ হয়নি। মেশিন অফ করে চালু করা হয়। নির্বাচনী কর্মকর্তারা তার কাছে থাকা অন্য একটি কার্ড দিয়েও চেষ্টা করেন। টিস্যু দিয়ে আঙুল মুছে ম্যাচ করানোর চেষ্টা করা হয়। তাতেও কাজ হয়নি। অন্য আরেকটি মেশিনেও ট্রাই করা হয়, কিন্তু কাজ হয়নি।
এরপর কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, টেকনিক্যাল কারণে আমি ভোট দিতে পারিনি। আমি পরে ভোট দেব।
ব্যবসায়ী নেতা মহিউদ্দিন ঢাকার উত্তরা এলাকার ভোটার ছিলেন। রাজনীতিতে নেমে এবার ঢাকা-১০ আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হওয়ার পর ভোটার তালিকায় নাম স্থানান্তরের আবেদন করেন তিনি।
উপনির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন বলেন, তফসিল ঘোষণার দু’দিন আগে এ প্রার্থী (মহিউদ্দিন) স্থানান্তর হওয়ার আবেদন করেছিলেন। উত্তরা থেকে ধানমন্ডির লেক সার্কাস এলাকায় ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে এ আবেদন করেন তিনি। ভোটার তালিকা তো আগেই চূড়ান্ত হয়েছিল। ভোটার স্থানান্তরের পর হালনাগাদ তথ্য হয়ত কেন্দ্রে পৌঁছেনি।
সেই কারণে মহিউদ্দিনের আঙুলের ছাপ মেলেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ইভিএমে ভোটের ক্ষেত্রে আঙ্গুলের ছাপের তথ্যও কেন্দ্রভিত্তিক সংযোজন করতে হয়। এখনো আমাদের কাছে কিছু জানানো হয়নি। এ নিয়ে সহায়তা চাইলে ব্যবস্থা করা হবে।
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোটার হওয়ার বাধ্যতামূলক নয়। তবে মহিউদ্দিন আশা করছেন, জটিলতা কাটিয়ে বিকেলের মধ্যে ভোট দিতে পারবেন তিনি।
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।