
নির্বাচন কমিশনের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
আগামীকাল হালনাগাদ করা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন অনুযায়ী প্রতিবছর ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি জাতীয় ভোটার দিবস পালন করে ইসি। জাতীয় ভোটার দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘তোমার আমরা বাংলাদেশে, ভোট দিব মিলেমিশে।’
ভোটার
দিবস উপলক্ষে আগামীকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আলোচনা সভা
আয়োজন করেছে ইসি। প্রধান নির্বাচন
কমিশনার এ এম এম
নাসির উদ্দিন সভায় প্রধান অতিথি
হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। একই অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত
ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ভোটার
নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর
২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা
প্রকাশ করা হয়, এবং
দাবি-আপত্তির নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত তালিকা
একই বছরের ২ মার্চ প্রকাশ
করা হয়।
গত
২ জানুয়ারি ইসি সচিবালয়ের প্রকাশিত
খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটারের
সংখ্যা ১২ কোটি ৩৬
লাখ ৮৩ হাজার ৫১২
জন। এর মধ্যে নতুন
ভোটার হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৩
হাজার ৩৫২ জন।
খসড়া
ভোটার তালিকা প্রকাশ করে সেদিন নির্বাচন
কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল
মো. সানাউল্লাহ জানান, গত বছরের (২০২৪
সালের চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী) তুলনায় ১৮ লাখ ৩৩
হাজার ৩১২ জন ভোটার
বেড়েছে। যা ১.০৫
শতাংশ বেশি। খসড়া তালিকা অনুযায়ী
পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩৩
লাখ ৩০ হাজার ১০৩
জন। অপরদিকে নারী ভোটার ৬
কোটি ৩ লাখ ৫৩
হাজার ৪০৯ জন।'
ভোটার
তালিকায় সাতটি দেশের প্রবাসীদের যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে
তিনি বলেছিলেন, ‘তালিকায় ১৩ হাজার ১৫১
জন প্রবাসী ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।’ তবে প্রত্যাশিত সংখ্যায়
নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এবং
মৃত ভোটার বাদ না যাওয়ায়
এই তালিকা অসঙ্গতিপূর্ণ জানিয়ে ২০ জানুয়ারি থেকে
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার
হালনাগাদের কাজ শুরু করে
ইসি। ২০২৬ সালের ১
জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর
হবে তারা এবার অন্তর্ভুক্ত
হচ্ছেন।
বাড়ি
বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা
হালনাগাদ প্রসঙ্গে করা এক সংবাদ
সম্মেলনে ইসির সিনিয়র সচিব
আখতার আহমেদ জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে প্রায় ৫০ লাখ নতুন
ভোটার যুক্ত হতে যাচ্ছে। তবে
নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য এবার নতুন করে
যুক্ত হবে ৬১ লাখের
বেশি ভোটার।
ওই
হালনাগাদে ৪৯ লাখ ৭০
হাজার ৩৮৮ জন ভোটার
যুক্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন ইসি
সচিব। তবে নির্বাচন কমিশনের
লক্ষ্য ছিল ৬১ লাখের
কিছু বেশি। ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটার
বাদ পড়েছেন ১৫ লাখ ২৩
হাজার। শতকরা হিসাবে ১.৭৭ শতাংশ।
মোট বৃদ্ধির ৩.৯ শতাংশের
মধ্যে বাদ পড়াদের বৃদ্ধির
হার ২.৪৪ শতাংশ
ও নতুন ভোটার বৃদ্ধির
হার শতকরা ১.৪৬ ভাগ।
যদিও
আইন অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে
ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের খসড়া তালিকা প্রকাশ
হওয়ার কথা ২০২৬ সালের
জানুয়ারিতে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হলে ২০২৪ সালের
তালিকা যা আগামীকাল প্রকাশ
হবে তা নিয়েই ভোট
করতে হবে কমিশনকে।