
হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইসির এই গণবিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। তার সঙ্গে ছিলেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও আবেদা গুলরুখ।
আদেশের বিষয়টি আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, “আমাদের রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছে। পাশাপাশি ইসির রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে গত ১০ মার্চ জারি করা ইসির গণবিজ্ঞপ্তি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ক্ষেত্রে স্থগিত করা হয়েছে। এখন অন্য কোন রাজনৈতিক দল যদি একই গ্রাউন্ডে আদালতে আসে তাহলে তাদের ক্ষেত্রেও গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত থাকবে।”
হাসনাত কাইয়ুম আরও বলেন “রিট আবেদনে আমরা কয়েকটি বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। যেমন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ইসির আইনে বলা আছে- রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য কমপক্ষে ১০০ উপজেলা ও ২২ জেলায় দলের কমিটি থাকতে হবে। কিন্তু পাহাড়ি জনসংখ্যা অধ্যুষিত তিন জেলায় উপজেলা আছে মাত্র ২০টি। তাই পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ইচ্ছা করলেও রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারবে না, এমনকি আঞ্চলিক দলও গঠন করতে পারবে না।”
“ইসির বর্তমান আইন অনুযায়ী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়াসহ আরও কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে এ রিট করা হয়েছে।”
গত রবিবার (১৬ মার্চ) ইসির গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম এ আবেদনটি করেন।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে বিবাদী করা হয়।
গত ১০ মার্চ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন পেতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।