প্রথম দফায় ২৪ পৌরসভায় গতকাল সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা ১৮টি পৌরসভায় জয় পেয়েছেন। 

তিনটি পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর বিএনপি জয়ী হয়েছে দুইটি পৌরসভায়। একটি পৌরসভায় প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হয়।

এছাড়া ভোট শেষ হওয়ার কিছু আগে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র পদের ফল স্থগিত করা হয়েছে।

দেশজুড়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ঘোষণা করা ফল অনুসারে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টানা ভোট গ্রহণ। ২৪টি পৌরসভাতেই ভোট নেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)। 

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী- পঞ্চগড় সদর, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম সদর, রাজশাহীর কাটাখালি, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গা সদর, বরগুনার বেতাগী, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, মানিকগঞ্জ সদর, ঢাকার ধামরাই, সুনামগঞ্জের দিরাই, মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী।   

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী তিন প্রার্থীর মধ্যে দুইজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একজন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে জয় পেয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ও পটুয়াখালীর কুয়াকাটার প্রার্থীরা। আর দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জয়ী হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী।

খুলনার চালনা পৌরসভায় ভোট শুরুর পরপরই বিএনপির প্রার্থী আবুল খয়ের খানের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। খবর পেয়ে নির্বাচন কমিশন এই পৌরসভায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করে।