
নির্বাচন কমিশন (ইসি) লোগো। ফাইল ছবি
পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধির যথাযথ প্রয়োগ ও প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৫ মে। আর খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট হবে ২১ জুন। এসব ভোট হবে ইভিএমে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটির ভোটে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২৭ এপ্রিল। আর বাছাই ছিল ৩০ এপ্রিল। এ সিটিতে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে ও ভোট ২৫ মে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, খুলনা ও বরিশাল সিটিতে ভোটের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে ও ভোট ১২ জুন।
রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। এই দুই সিটিতে মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন। আর এই দুই সিটিতে ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ জুন।
ইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উল্লিখিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোন কোন প্রার্থীর মিছিল, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বা শোডাউন করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ১১ ও ১৩ বিধিতে নিম্নরূপ বিধান রয়েছে:
১১। মিছিল বা শোডাউন সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ:
(১) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোন প্রকার মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না বা প্রার্থী ৫ (পাঁচ) জনের অধিক সমর্থক লইয়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারিবেন না ।
(২) নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোন প্রকার মিছিল বা কোনরূপ শোডাউন করা যাইবে না।
১৩। যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ:
কোন প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দল, অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান-
(ক) কোন ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোন যান্ত্রিক যানবাহনসহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল বা অন্য কোন প্রকারের মিছিল বাহির করিতে পারিবে না কিংবা কোনরূপ শোডাউন করিতে পারিবে না।
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্ব শর্ত নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনসমূহে নির্বাচনী এলাকার আচরণবিধির যথাযথ প্রয়োগ ও প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপার যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন।