নতুন ভোটারদের আইডি কার্ড সংশোধনের সুযোগ দিলো কমিশন

নতুন ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল কিংবা অসঙ্গতি থাকলে তা সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সংশোধনের এই সুযোগ মিলবে।

এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখা-২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হালনাগাদ করা ভোটার তালিকার খসড়া আগামী ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। এরপর ভুল-ভ্রান্তি বা কারো কোনও দাবি আপত্তি থাকলে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন জানাতে পারবেন। এরপর দাবি আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করতে হবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেওয়া আগাম তথ্য অনুযায়ী ১৭ লাখ নতুন ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। এ ছাড়াও নিজ উদ্যোগে অনেকে নির্বাচন অফিসগুলোতে এসে ভোটার হয়েছেন, তাদের তথ্যও যোগ হবে। সব মিলিয়ে খসড়া তালিকায় যুক্ত হতে পারে প্রায় ২৭ লাখের মতো ভোটার। এদেরই কারো কোনও ভুল থাকলে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সাপেক্ষে সংশোধন করে নিতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে, যা ১ জানুয়ারিতে সন্নিবেশিত করা হবে এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এই সংখ্যা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। ধারণা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ হতে পারত।

আমাদের কাছে থাকা ১৭ লাখ তথ্যের মধ্যে ১৩ লাখ ২০২২ সালে সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং বাকি চার লাখ এই বছরে বিভিন্ন অফিসে এসে নিবন্ধন করেছে। ফলে আমাদের ধারণা, ২৭ থেকে ২৮ লাখের মতো ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিক আছেন, যা কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। এই বাস্তবতায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, চলতি বছরের প্রক্রিয়া শেষ করে হালনাগাদ সম্পন্ন করা হবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিবন্ধনের কাজ করব।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ১ জানুযারি যে তথ্যটা ভোটার যোগ্য হয়ে যায়, সেই তথ্যটা আমরা ২ জানুযারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে শুনানিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে চূড়ান্ত করে থাকি। ২০২৫ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছর মার্চের পর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করব। এক্ষেত্রে ২০২৬ সালের ১ জানুযারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়িবাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করব। যখন বাড়িবাড়ি যাব তখন মৃত ভোটারও কর্তন করা হবে। কোথাও দ্বৈত ভোটার থাকলেও বাদ দেওয়া যাবে। এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আমাদের আনুমানিক ছয় মাস সময় লাগবে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে শতভাগ শুদ্ধতার সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা।

সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh