নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে সেকেন্ড রিপাবলিক গঠন এনসিপির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি গণপরিষদ নির্বাচনে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়
বরিশাল ক্লাবে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে নাহিদ বলেন, “আমরা কোনো চাঁদাবাজ দখলদারীদের সাথে
আপোস করব না। গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে
নির্বাচনে যাব। নির্বাচনের জন্যই রাজনৈতিক দল করা হয়েছে। নির্বাচনটি হতে হবে গণপরিষদ
নির্বাচন। আমরা দৃশ্যমান বিচার এবং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচনে যাব।”
এনসিপি বরিশালে তাদের
নেতা-কর্মী ও গণমাধ্যমের সঙ্গে এই মতবিনিময়ের আয়োজন করে।
এনসিপি আত্মপ্রকাশের
দিন থেকেই বলছে, তারা গণপরিষদ পরিষদ নির্বাচন চান। নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে সেকেন্ড
রিপাবলিক গঠন তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
রাজনীতির মাঠে নামতে
সরকারের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে আসা নাহিদ বলেন, “বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিবর্তন দেশের বিপ্লবী জনতা ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে এসেছে। সেই পরিবর্তনকে এগিয়ে
নিয়ে যাওয়া ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমরা একটি
নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছি, যার নাম নাগরিক পার্টি। ক্ষমতার চেয়ে জনতা আমাদের কাছে
সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম
রমজানের পরে আরও দ্রুততার সাথে শুরু হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের
মাঝে যাতে কোনো সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ঢুকতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি তাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট
বলেছে, অনেকেই ন্যূনতম সংস্কারের কথা বলছে। ন্যূনতম সংস্কার বলে কিছু হয় না। আমাদের মৌলিক এবং গুণগত সংস্কার করতে হবে এবং তা এই সরকারের সময় করতে হবে।”
“ছাত্র জনতার রক্ত
দিয়ে মানুষ এই স্বাধীনতা এনে মানুষ ছাত্র জনতা রক্ত দিয়ে সরকারকে এনেছে। পরিবর্তনের
জন্য এবং বিচার পাওয়ার জন্য। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সেই দাবিতে জানাচ্ছি। আমরা মনে
করি যে সময়সীমা দেয়া হয়েছে সেই সময় সীমার মধ্যেই সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচারের মাধ্যমে
আমরা একটি নির্বাচনের দিকে যেতে পারব।”
নাহিদ বলেন, “পুরাতন
বন্দোবস্তের পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এখন
ফ্যাসিবাদীরা পিছু হটলেও পুরাতন বন্দোবস্তের অনেক উপাদান আমাদের বিদ্যমান দলগুলোর ভেতরেও
আছে। আমরা মনে করি জাতীয় ঐক্যমতের প্রতিশ্রুতি হয়েছে, আমরা ধরে রাখব এবং অবশ্যই কারো
সাথে আপোষ করে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সমঝোতা যাব না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত
ছিলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুগ্ম মূখ্য সংগঠক
(দক্ষিণ) ডা. মাহমুদা আলম মিতুসহ অন্যরা।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh