৪৪ ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিলো পিএসসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:২২

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ফাইল ছবি
হাসিনা সরকার পতনের পর বিসিএসসহ সব ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নতুন সবকারের সিদ্ধান্তের দিকে চেয়ে ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সদস্যরা। ফলে একে একে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেন তারা।
তবে চাকরিপ্রত্যাশীদের দাবির মুখে অবশেষে পিএসসিতে গতি ফেরাতে আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা প্রায় ৭টা পর্যন্ত নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের সভা করেছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে দুটি বিসিএসের স্থগিত পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা ও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পিএসসি সূত্র জানায়, স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। সেখানে সব ঠিক থাকলে এবং সরকারের পক্ষ সহযোগিতা পেলে অক্টোবরের শেষদিকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তা ছাড়া স্থগিত থাকা ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দুই মাসের মধ্যে নেওয়া হতে পারে। সে হিসেবে নভেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষদিকে এই পরীক্ষা শুরু হতে পারে।
পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, পটপরিবর্তনের কারণে বেশ কিছুদিন পিএসসিতে কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা ছিল। সে কারণে অনেক কাজ জমে গেছে। আমরা এখন কার্যক্রমে গতি আনার উদ্যোগ নিয়েছি। সে কারণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা আমরা এক মাসের মধ্যে শুরু করার চেষ্টা করছি। ৪৫ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়ন চলছে। যদি দ্বিতীয় পরীক্ষকের মূল্যায়নে ২০ শতাংশের বেশি ব্যবধান হয়, তাহলে আমরা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠাব। আর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য আমাদের মডারেশন লাগবে। পরীক্ষার কেন্দ্র ঠিক করা লাগবে। প্রেসের সঙ্গে বসতে হবে। সব মিলিয়ে দুই মাসের মতো সময় লাগতে পারে।
সভায় অংশ নেওয়া পিএসসির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকার যদি সহযোগিতা করে; কমিশনের বর্তমান প্রশাসনকে কাজের সুযোগ দেয়; তাহলে অক্টোবরের শেষদিকে ৪৪তম বিসিএসের অবশিষ্ট প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা হতে পারে।