
প্রতীকী ছবি
ভালো একটি কর্মক্ষেত্রের স্বপ্নকে ঘিরে পড়াশোনা করেন অনেকেই। তবে ব্যক্তিগত ও ভাবনাগত সীমাবদ্ধতার কারণে স্বপ্নকে ধরতে পারেন না। অনাকাঙ্ক্ষিত এসব বিষয়কে ডিঙিয়েই স্বপ্নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
ইতিবাচক মনোভাব : সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে ইতিবাচক মনোভাবের দিকে নজর দিতে হবে। ইতিবাচক মনোভাব মানুষকে উত্তেজনা, উগ্রতা, দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখতে সহায়ক। সেজন্য ভালো ক্যারিয়ার গড়ায় ইতিবাচক মনোভাবের বিকল্প কিছু নেই।
শুনুন, প্রশ্ন করুন, শিখুন : একজন ভালো শ্রোতা অনেক কিছু শিখতে পারেন সহজেই। সহকর্মী থেকে বস, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন যা বলে তাই শোনার চেষ্টা করুন। কারণ তাদের অভিজ্ঞতা, গল্প থেকে জীবনসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অনেক কিছুই শিখতে পারবেন। এ ছাড়া যে কোনো বিষয়ে সমস্যা অনুধাবন করলে, সে সম্পর্কে তাদের সঙ্গে আলাপ করুন। প্রশ্ন করুন। জিজ্ঞেস করার মাধ্যমেই উপযুক্ত একটি সমাধান বেরিয়ে আসবে।
কাজকে মূল্যায়ন করুন : বিনাশ্রমে কিছুই ধরা দেয় না এই বিশ্বাস যাদের ভেতর আছে তারাই সফলকামী হয়। আপনি যদি শুরুর বা বর্তমান কাজের সব দায়-দায়িত্ব আস্থার সঙ্গে পালন করেন, তাহলে এটাই হতে পারে নতুন ক্যারিয়ার বা ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ার উপযুক্ত সিঁড়ি। তাই যখন যে কাজ আপনার ওপর অর্পিত হবে তা নির্দ্বিধায় পালন করুন। কারণ একমাত্র কাজের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের আস্থা অর্জন করা সম্ভব। আর প্রতিষ্ঠানের আস্থা অর্জন মানেই বসের আস্থা অর্জন।
সম্পর্ক গড়ে তোলা : এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৫০% চাকরি হয় জানাশোনা ও সম্পর্কের মাধ্যমে। এ থেকেই বোঝা যায়, যার সম্পর্কের জাল যত বিস্তৃত, তার ক্যারিয়ার ততটাই সমৃদ্ধিশালী হবে। এ ছাড়া যোগাযোগ ও সম্পর্কের মাধ্যমে নতুন নতুন ব্যবসায়িক ধারণা, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ধারণা পাওয়া যায়। যা ক্যারিয়ারের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে সহায়তা করে। সেজন্য চারপাশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হবে।
চাহিদা ও দক্ষতা নির্ধারণ : নিজেকে তৈরি করতে প্রতিনিয়ত শেখা জরুরি। নিজের দক্ষতার ওপর নির্ভর করেই চাকরিগুলো বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন। যে বিষয়টি আপনাকে সবচেয়ে বেশি টানে সেদিকেই আপনার যাওয়া উচিত। ধরুন, কম্পিউটারে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করেন, এ বিষয়ে বেশ জানাশোনাও আছে। এই দুই মিলিয়ে বলা যায় আপনার উচিত তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়া। এভাবে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আপনি যা ভালো জানেন, বোঝেন কিংবা যে বিষয়ে আপনার দক্ষতা সেদিকেই যাওয়ার চেষ্টা করুন।
নমনীয়তা : নমনীয়তা মানুষের ভালো গুণের একটি। উগ্রতা সব সময়ই মন্দ পরিস্থিতি তৈরি করে। মনে রাখতে হবে, জোরজবরদস্তি করে কিছুই করে নেওয়া সম্ভব না। সেজন্য উগ্রতাকে দূরে সরিয়ে, নমনীয়তায় জীবন গড়ার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর ভালো ক্যারিয়ার গঠন করতে নমনীয়তার বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না।
সময়ের সঠিক ব্যবহার : সময়ের কাজ সময়ে করতে পারলে যে কেউ সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। যারা করব করব ভাবেন, আর সময় অপচয় করেন তারা প্রয়োজনের সময় হাঁপিয়ে ওঠেন। কারণ তখন অনেক কাজ জমে যায়, কখন কোনটা শেষ করবে সেসব নিয়ে ঘোরপ্যাঁচে থাকতে হয়। যার ফলে কাজে অনেক ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেজন্য সফল ক্যারিয়ার গড়তে চাওয়া ব্যক্তির সময় সচেতন হয়ে ওঠা আবশ্যক।
নেটওয়ার্ক তৈরি : সফল ক্যারিয়ার গড়তে নেটওয়ার্ক গড়ার বিকল্প নেই। ক্যারিয়ার গড়ার পথে অবশ্যই নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। নেটওয়ার্কটি সৎ ও উদ্দেশ্যবহুল হতে হবে। বিভিন্ন অবস্থানের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বা বন্ধুত্ব গড়ে তোলাটাও সফল ক্যারিয়ার গড়ার একটি সহায়ক ধাপ।
সহিষ্ণুতা : ধৈর্যই কাজের সফলতা এনে দিতে পারে। সেজন্য কোনো কাজেই তাড়াহুড়া করা যাবে না। তাড়াহুড়ার যে কোনো কাজের মধ্যে ভুল হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই সফল ক্যারিয়ার গড়তে সহিষ্ণুতার দিকে নজর দিতে হবে।