Logo
×

Follow Us

চাকরি

কখন বুঝবেন চাকরি ছাড়ার সময় হয়েছে

Icon

ফারিহা জান্নাত কুয়াশা

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:০৮

কখন বুঝবেন চাকরি ছাড়ার সময় হয়েছে

চাকরি ছাড়ার ছাড়পত্র। ছবি: সংগৃহীত

‘ছাড়পত্র’... চাকরির জগতে এই শব্দটি শোনার কথা যতটা সহজ মনে হয়, বাস্তবে ততটাই জটিল। তবে কখনো কখনো সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে হতে পারে, ‘এই চাকরিটা আর নয়!’ প্রতিদিনের ক্লান্তি, অনুপ্রেরণার অভাব আর কাজের প্রতি বিরক্তি- এসব অনুভূতি যেন বারবার মনে করিয়ে দেয়, ‘সময় এসেছে নতুন গন্তব্যের দিকে পা বাড়ানোর।’

তবে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কি এতটাই সহজ? এটি আপনার ক্যারিয়ার, আর্থিক অবস্থা এবং ভবিষ্যতের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই এই সিদ্ধান্ত আবেগের বশে নেওয়া যাবে না, তা আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তাহলে কীভাবে বুঝবেন যে এখনই চাকরি ছাড়ার সময় হয়েছে?

কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলা

আপনি যদি প্রতিদিন অফিসে গিয়ে বিরক্ত বা অসন্তুষ্ট অনুভব করেন এবং আপনার কাজ আর আগের মতো উদ্দীপনা বা প্যাশন তৈরি করতে না পারে, তাহলে এইটা একটা বড় সংকেত। একঘেয়েমি, বিরক্তি বা কাজের প্রতি আগ্রহ হারানো মানে, হয়তো এই চাকরিটা আর আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।

ভালো সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে

আপনি যদি কোনো ভালো চাকরির সুযোগ পান, যেখানে আপনার পেশাগত ও ব্যক্তিগত লক্ষ্য পূরণ সম্ভব এবং যেখানে আপনার দক্ষতা আরো মূল্যায়িত হবে, তখন চাকরি পরিবর্তন করা উচিত।

আর্থিক অসন্তোষ

আপনি যদি মনে করেন যে আপনার কাজের সঙ্গে আপনার বেতন বা সুবিধার সামঞ্জস্য নেই এবং বারবার এ বিষয়ে আলোচনা করেও কোনো সমাধান না পান, তবে এটা একটি পরিষ্কার সংকেত। যে চাকরিটি আপনার প্রয়োজনীয়তা বা মর্যাদাকে পূর্ণ করে না, সেখানে দীর্ঘদিন থাকা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

দোষারোপ

আপনি দলের জুনিয়র হওয়ার কারণে অন্যের ভুলের জন্য আপনাকে দোষারোপ করা হলে তা মেনে নেবেন না। আপনার টিমের সদস্যদের উচিত তাদের ভুলগুলো আপনার ওপর না চাপিয়ে নিজেদের শুধরে নেওয়া। যদি আপনাকে অন্যের ভুলের জন্যও জবাবদিহি করতে হয় তবে সেই কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করাই উত্তম।

অফিসের পরিবেশ ভালো লাগছে না

অফিসের পরিবেশ আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলে। টক্সিক কাজের পরিবেশ আপনাকে হতাশ ও বিষণœ করে ফেলতে পারে। তা ছাড়া সহকর্মীদের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারলে অথবা আপনার নীতি ও নৈতিকতার সঙ্গে সহকর্মীদের মিল না পেলে সেই পরিবেশে না থাকাই ভালো। এ রকম পরিস্থিতিতে নতুন চাকরির সন্ধানে নেমে পড়ুন।

নিজের জন্য সময় না পাওয়া

যখন আপনি চাকরির কারণে আপনার ব্যক্তিগত জীবন বা সম্পর্ক উপেক্ষা করতে শুরু করেন এবং এটি আপনার মানসিক শান্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তখন বুঝতে হবে যে, হয়তো আপনি একটি নতুন পথে যেতে পারেন, যেখানে আপনি নিজের জন্যও কিছু সময় পেতে পারেন।

কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা বোধ

কাজ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বোধ করা হলো কোনো কিছুতে ভুল হওয়ার একটি বড় লক্ষণ। এটি অতিরিক্ত কাজের চাপ, ব্যর্থতার ভয় বা হিংসুটে সহকর্মীর কারণেও হতে পারে। কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা চাকরির নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলে। এই অনুভূতিগুলো অব্যাহত থাকলে আপনার মানসিক সুস্থতার জন্য কাজের পরিবেশ পরিবর্তন করা জরুরি হতে পারে।

পদোন্নতির কোনো আশা দেখছেন না

যদি আপনি দীর্ঘদিন একটি পদে বা একটি অবস্থানেই আটকে থাকেন তাহলে নতুন চাকরি খোঁজা উচিত। কারণ পদোন্নতির আশা না দেখলে কাজ করার অনুপ্রেরণা পাবেন না। এ রকম কর্মস্থল ধীরে ধীরে আপনাকে হতাশাগ্রস্ত করে ফেলতে পারে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫