Logo
×

Follow Us

চাকরি

উদ্যোক্তা হতে গেলে জানা জরুরি

Icon

ইয়াসির আমান

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১৩:২০

উদ্যোক্তা হতে গেলে জানা জরুরি

ফাইল ছবি

শ্রম বাড়লেও নির্দিষ্ট অঙ্কে আঁটকে থাকে আয়- তার ওপর থাকে প্রতিদিনের একঘেয়ে নিয়মে অফিসে হাজির হওয়ার চাপ; পান থেকে চুন খসলেই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার রুদ্রাচরণ মানসিকভাবেও করে তোলে বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে চাকরির চিরাচরিত শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসার স্বপ্ন লালন করেন অনেকেই।

এ ক্ষেত্রে জীবিকা অর্জনের বিকল্প হতে পারে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা। এ জন্য পুঁজি ও সাহসের সমন্বয় থাকতে হবে। একই সঙ্গে জানতে হবে ‘উদ্যোগ কী এবং উদ্যোক্তা কে’। সফল উদ্যোক্তা হতে হলে প্রথমেই জেনে নিতে হবে এই দুটি বিষয়। একজন উদ্যোক্তাকে ব্যবসায়ীও বলা যেতে পারে। কিন্তু একজন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীর মধ্যে একটু তফাৎ রয়েছে। সব উদ্যোক্তাই ব্যবসায়ী, কিন্তু সব ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা নন।

যেমন- একজন শাক-সবজির দোকানি ব্যবসায়ী হলেও উদ্যোক্তা নন। কারণ তিনি উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিকে সেবায় রূপান্তর করতে পারেন না। উদ্যোগ ও উদ্ভাবন এই দুইয়ে মিলেই হয় উদ্যোক্তা। একজন উদ্যোক্তা তার উদ্যোগ গ্রহণ করে কঠিন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি সামলে ওঠা ও ব্যর্থতার দায়ভার গ্রহণের সামর্থ্যও তার থাকতে হবে। ব্যর্থতার কথা চিন্তা না করে কাজে গভীরভাবে মনোনিবেশ করে সফল হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে প্রথমেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। হতে পারে একজন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে কোনো সমস্যায় পড়েছেন অথবা আশপাশে কেউ অনেকটা একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। মোট কথা, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং এর একটি উদ্ভাবনী সমাধান বের করা প্রয়োজন। এর পরের কাজ হলো সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধানের একটি ব্যাবসায়িক মডেল দাঁড় করানো। মোটামুটি এতটুকু হয়ে গেলেই প্রারম্ভিক কাজ অনেকটা শেষ হয়ে যাবে। এরপর কাজটি এগিয়ে নেওয়া এবং এর একটি সফল পরিণাম দেওয়ার জন্য একটি টিম গঠন করতে হবে। এটি দুভাবে হতে পারে। প্রথমত, টিমের এক বা একাধিক কো-ফাউন্ডার থাকতে পারে। কো-ফাউন্ডার হচ্ছেন তারা, যারা সমস্যা নিয়ে ভাবেন। টিমে অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরের মানুষ থাকতে হবে। যেমন- কেউ বিপণন, কেউ প্রকৌশল। এতে করে টিমে বৈচিত্র্য আসবে।

দ্বিতীয়ত, কেউ চাইলে নিজেই উদ্যোগটি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। আর এ জন্য একজন বিপণন কর্মকর্তা, হিসাববিজ্ঞান কর্মকর্তা এবং একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়ে টিম গঠন করে কাজ শুরু করতে পারেন। সমস্যার সমাধান হতে পারে কোনো পণ্য অথবা সেবা নিয়ে। সমাধান যা-ই হোক, তার জন্য প্রথমে একটা প্রটোটাইপ বানাতে হবে। প্রটোটাইপ হলো সমস্যা সমাধানের একটা বাস্তব মডেল, যা সমাধানকে চিত্রিত করবে। একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন- কোনো ব্যবসা পরিচালনার জন্য অভিজ্ঞতা না থাকলে উচিত হবে কোথাও কাজ করে বা কোনো পার্টটাইম চাকরি করে ব্যবসার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো হাতে-কলমে শিখে নেওয়া। এতে করে নেটওয়ার্কিং বাড়বে, যা পরবর্তীকালে ক্লায়েন্ট বৃদ্ধি ও পণ্যের গুণগত মানোন্নয়নে সাহায্য করবে।

উদ্যোক্তা হতে হলে অনেকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিনিয়োগকারী, কাস্টমার এবং অন্যান্য উদ্যোক্তাসহ আরো অনেকের সঙ্গে। ভালো যোগাযোগ দক্ষতা না থাকলে বিষয়টি কঠিন। হয়তো কারো কাছে খুব ভালো আইডিয়া বা ভালো পণ্য আছে। কিন্তু সঠিকভাবে যোগাযোগ বা পণ্যের কার্যকারিতা বোঝাতে না পারলে খুব একটা লাভ হবে না। তাই একজন সফল উদ্যোক্তা হতে গেলে যোগাযোগে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। থাকতে হবে নেতৃত্বদানের গুণাবলি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫