
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ যুবক
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায়। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সৌদি আরবের মদিনা থেকে জেদ্দা ফেরার পথে গাড়ি উল্টে গিয়ে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
নিহতরা হলেন- বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাজুবাগ গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে সাজ্জাদ আহমেদ সাজু (২৬) এবং একই উপজেলার ভূইয়াবাড়ি এলাকার সালাউদ্দিনের ছেলে মেজবাহ্ উদ্দিন ফাহিম (২৪)। এই দুর্ঘটনায় আহতরাও একই উপজেলার মতিউর (৩০), হানিফা (২৪) ও সেলিম (৩৪)।
নিহত ফাহিমের সৌদি আরব প্রবাসী ছোট ভাই ফারাবি ফাহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তারা দুইজনই সৌদি আরবের মাছের বাজারে কাজ করতেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বড় ভাই ও মামা মদিনা থেকে জেদ্দা যাওয়ার পথে মদিনা রোডে গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান জানান, বাজুরবাগ গ্রামের আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ, পার্শ্ববর্তী পিছকামতাল গ্রামের মো. হারুজ মিয়ার ছেলে সেলিম, মোস্তফা মেম্বারের ছেলে হানিফা, পার্শ্ববর্তী ধামগড় ইউপি জাঙ্গাল গ্রামের মতিউর রহমান ও বন্দর ভূঁইয়া বাড়ি এলাকার সালাউদ্দিনের মেজবাহ উদ্দিন ফাহিম তিন বছর আগে মাছের আড়তের কাজে সৌদি আরবে যান। মাছের বকেয়া টাকা আনতে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে শুক্রবার জেদ্দা থেকে মদিনা পৌঁছান। পরে মদিনা থেকে জেদ্দায় ফেরার পথে শুক্রবার (বাংলাদেশ সময়) রাত ১টার দিকে জান্নাতুল বাকি এলাকার মসজিদের সামনে প্রাইভেটকার উল্টে ঘটনাস্থলে সাজ্জাদ ও ফাহিম মারা যান। এসময় ওই গাড়িতে থাকা মতিউর রহমান, হানিফা ও সেলিম নামের তিনজন গুরুতর আহত হন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বন্দর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সৌদি আরবে গতকাল শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। আমাকে জানানো হলে থানা পুলিশের যা যা করণীয় আছে, আমরা সেটা করব।’
এ ব্যাপারে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) এর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার ফিল্ড অফিসার মো. আমিনুল হক বলেন, ‘প্রবাসে কোনও বাংলাদেশির অপমৃত্যু হলে সরকারের পক্ষ থেকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়ে থাকে। নিহতের পরিবার যাতে দ্রুত সেই ক্ষতিপূরণ পেতে পারে, সেজন্য আমরা ওকাপের পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতা করে থাকি। পাশাপাশি লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও আমরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করি।