নতুন করে শিখছি, নতুন করে ভাবছি: মৌটুসী বিশ্বাস

মোহাম্মদ তারেক
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫০

মৌটুসী বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত
মৌটুসী বিশ্বাস। নাটকপাড়ার পরিচিত মুখ। একসময় নিয়মিত নাটকে দেখা গেলেও ইদানীং তার দেখা মেলে কদাচিৎ। বরং কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার খোঁজ দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে সম্প্রতি তিনি এসেছেন মঞ্চে। কাজ করছেন নাট্যসংগঠন বটতলার সাথে। এ প্রসঙ্গসহ অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক

সম্প্রতি মঞ্চ নাটকের সাথে যুক্ত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাই আমি নাট্যসংগঠন বটতলার সাথে যুক্ত হয়েছি। সামিনা লুৎফা নিত্রা ও কাজী রোকসানা রুমার সাথে কাজ করেছি। ‘তিন কন্যা’ শীর্ষক একটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছি। মঞ্চস্থ হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। নিপীড়িত নারীদের উপর নাটকটি নির্মিত হয়েছে। ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব’-এ নতুন নাটক ‘সখী রঙ্গমালা’র প্রচারে কাজ করেছি। অভিনয় ছেড়ে দিয়েছি তা নয়। যে অভিনয় আমাকে আনন্দ দেবে সেটাই করছি।

মঞ্চের অভিজ্ঞতা কেমন হচ্ছে
দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে। ‘তিন কন্যা’র চিত্রনাট্য লিখেছেন সামিনা লুৎফা নিত্রা। নির্দেশনায় ছিলেন মোহাম্মদ আলী হায়দার। এটি আমার মঞ্চে করা প্রথম কাজ। মঞ্চে দাঁড়ানোর আগে শঙ্কায় থাকলেও পরে উতরে যাই। অন্যদিকে শাহীন আখতার রচিত ‘সখী রঙ্গমালা’ উপন্যাসকে নাট্যরূপ দিয়েছেন সামিনা লুৎফা নিত্রা ও সৌম্য সরকার।

গত ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় ও মঙ্গলদ্বীপ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব’-এ নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী সম্পন্ন হয়। ‘সখী রঙ্গমালা’ বিশাল আয়োজন। অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত আছে। বটতলা ধীরে ধীরে ডানা মেলছে। অনেককেই তাদের ডানার ছায়ায় নিয়ে আসছে। তার মধ্যে আমিও একজন। গেল কয়েক মাস সকলে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। আমাকে প্রতিদিন যেতে হয়নি। যেহেতু প্রচারে ছিলাম। ইতিবাচক পরিবেশ থাকলে নিজেও ইতিবাচক হয়ে ওঠা যায়। আমার এরকম একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই অভিজ্ঞতার মাঝে থাকতে চাই।

আপনাকে টেলিভিশন নাটক কিংবা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে কী বলবেন?
পাণ্ডুলিপি আসছে। সিনোপসিস আসছে। কিন্তু ভালো লাগছে না। এতদিন ভালো না লাগলেও নিজেকে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে কাজ করেছি। আর করতে চাই না। এ ছাড়া খুলনায় কৃষিকাজের সাথে যুক্ত আছি। ওখানে আদার চারা লাগিয়েছিলাম। এখন সে আদা বাজারে বিক্রির সময় হয়েছে। টেলিভিশন-ওটিটি আমার জন্য এখন আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খবর নেওয়ার মতো। তবে গল্প চরিত্র পাণ্ডুলিপি পছন্দ হলে অবশ্যই কাজ করব। অভিনয়ের বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ নিচ্ছি।

আপনার অন্যান্য ব্যস্ততা নিয়ে কিছু বলুন
একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ‘স্পিচ অ্যান্ড ড্রামা’ বিষয়ক কর্মশালায় শিশুদের সাথে কাজ করছি। একজন ট্রেইনার হিসেবে। শিক্ষার্থীরা তিন থেকে দশ বছরের শিশু। ছয় মাসের এ কর্মশালার জন্য আমি বটতলার কাছে কৃতজ্ঞ। শিশুরা আমাকে সামনে থেকে দেখছে। কিন্তু আমার পেছনে বটতলা যেমন আছে, স্কুলও আছে। নতুন করে শিখছি। নতুন করে ভাবছি। ভালো লাগছে। এ ছাড়া কৃষিকাজ তো আছেই। বেকার বসে নেই এটুকু বলতে পারি।