
শাকিব খান। ফাইল ছবি
ঢালিউড কিং শাকিব খান। তিনি বেশ দুঃসময় পার করছেন বলা যায়। গেল বছরের মাঝামাঝি থেকে একের পর এক খবরের শিরোনামের আসছেন ‘শিকারী’খ্যাত অভিনেতা। বুবলীর সঙ্গে বিয়ে ও পূজার সঙ্গে প্রেম সব মিলে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এর মধ্যে শেষ সময়ে তার সিনেমাগুলোও আগের মতো দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়।
এদিকে নতুন কোনো সিনেমাতেও নেই তিনি। গেল দেড়-দুই বছরের মধ্যে ‘রাজকুমার’, ‘প্রিয়তমা’, ‘কবি’, ‘প্রেমিক’ ও ‘মায়া’ নামের সিনেমাগুলোয় শাকিব খানের যুক্ত হওয়ার খবর শোনা গেছে। কিন্তু এ ছবিগুলো যেন ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ। এগুলো আদৌ নির্মাণ হবে কিনা, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। এ তালিকায় শেষ যুক্ত হলো ‘শের খান’-এর নাম। ২০২২ সালের নভেম্বরে শাকিব খানকে নিয়ে ‘মিশন এক্সট্রিম’ খ্যাত পরিচালক সানী সানোয়ার ঘোষণা করেছিলেন এ সিনেমার নাম। ওই সময় নায়ক-পরিচালক একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছিলেন। সে সময় পরিচালক জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেই ‘শের খান’-এর শুটিং শুরু হবে।
পরে জানা যায়, সেটি পরিবর্তন হয়েছে, মার্চে শুটিং হবে। কিন্তু এখনো শুরু হয়নি শুটিং। এদিকে শাকিব এখন নতুন খবরের আলোচনা-সমালোচনায়। কিং খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় সহপ্রযোজককে ধর্ষণ থেকে শুরু করে চুক্তিভঙ্গসহ একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায় এটি। এ ঘটনার পর মীমাংসার পথ খুঁজতে এক টেবিলে বসলেন শাকিব ও প্রযোজক। এক ঘণ্টা ধরে চলে সেই আলোচনা। তবে সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। এরপর হঠাৎ এই গল্পে আসে নয়া মোড়।
শনিবার শাকিব খান বলেন যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এ কারণে তিনি ভুয়া প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান থানায় অভিনেতা মামলা করতে উপস্থিত হন। তবে পুলিশ মামলাটি না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরের দিন রবিবার বিকেলে অভিযোগ নিয়ে রাজধানীর মিন্টো রোডে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে যান তিনি। ডিবি বলছে, শাকিবের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত গত বুধবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ। অভিযোগে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার দৃশ্য ধারণের সময় একজন নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান।