
হিরো আলম-মামুনুর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত
'আমি কি অন্যায় করেছি। কেন আমার সবকিছু নিয়ে মানুষ টর্চার করে। এই সমাজ কেন আমাকে রুচিসম্মত লোক কেন বানাতে পারল না। আপনাদের যদি এতই রুচিতে বাঁধে, তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলে আমাকে দেশ থেকে বের করে দেন, নাহলে জেলখানায় বন্দি করে রাখুন। অন্যথায় লাইভে এসে আত্মহত্যা করে দেশটাকে রেহাই করে যাব।' ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে এসব কথা বললেন ইউটিউবার হিরো আলম।
গত রবিবার (২৬ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের উত্থান নিয়ে নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেছেন, 'আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছি। আর সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একজন মানুষের উত্থান হয়েছে।'
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার (২৮ মার্চ) নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে হিরো আলম বলেন, 'আমাকে নিয়ে বলা মামুনুর রশীদ স্যারের এই কথায় বোঝা যায়, মানুষ মানুষের ভেদাভেদ আছে। কারণ যারা ভাল কথা বলতে পারে, চলতে পারে, টাকা আছে- তারাই রুচিসম্মত মানুষ।'
তিনি বলেন, 'আমি মরে গেলে আপনারা দায়ী থাকবেন। রুচি কি বুঝায়- আমি বুঝি না। আমি তো রুচি নিয়ে দুনিয়াতে আসি নাই। তাহলে কেন আল্লাহ্ আমাকে দুনিয়াতে পাঠালেন, কেন আমাকে সুন্দর বানালেন না, কেন আমাকে শিক্ষিত করলেন না, কেন আমার অর্থসম্পদ দিলেন না।'
হিরো আলম বলেন, ‘আমি তো কখনো কারো কাছে যায়নি যে আমাকে কাজ দেন। আমাকে আপনারা তৈরি করেননি। মামুনুর রশীদ স্যার, আপনি তো আমাকে তৈরি করেননি।’
নিজের কাজের কথা তুলে ধরে হিরো আলম বলেন, ‘এফডিসির কয়েকজন ৫০০ টাকার পরিচালক আছেন যারাও কিনা আমাকে নিয়ে নানা কথা বলে। আমাকে তো আপনারা তৈরি করেননি, আমি কারও কাছে যাইনি। আমি শুধু আমার কাজ করে যাচ্ছি, ফাউন্ডেশন চালাচ্ছি। অনেকে বলে এই ফাউন্ডেশনের নামে নাকি আমি ব্যবসা করছি!’
হিরো আলমের দাবি তাকে সুন্দরভাবে কেউ বাঁচতে দিচ্ছে না, তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক জায়গা হোক, সিনেমার জায়গা হোক, সবখানে আমি শুধু টর্চারিংয়ের শিকার হচ্ছি। আমাকে মানুষ বাঁচতে দিচ্ছে না।’
হিরো আলম বলেন, ‘সংসদে অনেক এমপিদেরও কথা বলতে বলতে আটকে যায় তাদের নিয়ে তো কোনো কথা বলেন না আপনারা। আমার ব্যক্তিজীবন, রাজনীতি, ফাউন্ডেশন, কাজ সবকিছু নিয়ে আপনারা টর্চার করতেছেন। দেশে ১৮ কোটি লোক- কতজন কত কিছু করতেছে তাদের নিয়ে তো কিছু বলেন না।’