Logo
×

Follow Us

বিনোদন

তারকাদের বৈশাখ উদযাপন

Icon

মেহেদি হাসান ও মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৩৬

তারকাদের বৈশাখ উদযাপন

অপু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনকে বরণ করে নিতে বাঙালির পরিকল্পনার কমতি নেই। সকল শ্রেণির মানুষ দিনটি নিজের মতো করে পালন করে থাকেন। বাদ যান না পর্দার তারকারাও। সবার মতো বর্ষবরণ ঘিরে তাদেরও থাকে নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা। তারকাদের পহেলা বৈশাখ নিয়ে আমাদের বিশেষ আয়োজন নিয়ে লিখেছেন-মেহেদি হাসান ও মোহাম্মদ তারেক।

অপু বিশ্বাস

গেল বারের মতো এবারও রমজানের মধ্যেই বৈশাখ পড়েছে। তাই কিছুটা আমাদের অন্যরকমভাবে দিনটি কাটাতে হবে। তবে এদিনটিতে বাঙালিদের মধ্যে যে উন্মাদনা দেখা যায় এতেই আমার কাছে বেশ আনন্দ লাগে। এর সঙ্গে রঙ-বেরঙের ফেস্টুন-ব্যানার আরও বেশি আনন্দ যোগ করে। এবারও রোজার মধ্যে যেহেতু পহেলা বৈশাখ তাই সকালবেলা পান্তা-ইলিশ খাবার সুযোগ নেই। তবে যাদের পান্তা-ইলিশ খেতে মন চায় তারা বরং ইফতারে খেতে পারবে। এটাও অন্যরকম একটা আনন্দ হবে। আমি সব সময় আমার মাকে মিস করি। এবারও মায়ের অনুপস্থিতি মিস করব। মা না থাকলেও ছেলেকে নিয়েই আনন্দ ভাগাভাগি করব।

অভিনেতা সজল।

 অভিনেতা সজল

পয়লা বৈশাখ সর্বজনীন একটি উৎসব। এটি আমাদের প্রাণের দিন। তবে এবার পবিত্র রমজান মাসে পয়লা বৈশাখ পড়েছে। তাই খুব একটা পরিকল্পনা নেই। অন্যান্য বারের মতো বাইরে গিয়ে জমিয়ে বর্ষবরণ করা হবে না। পবিত্র রমজান মাসের ভাবগাম্ভীর্যতা বজায় রেখে যতটা সম্ভব ঘরোয়াভাবে পালন করব ভাবছি। এবার রোজার কারণে পান্তা ইলিশ খাওয়াও বন্ধ থাকবে। এছাড়া আমার মুক্তি প্রতীক্ষিত জ্বীন ছবির প্রচারণার কাজও রয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যস্ততায় কাটবে দিনটি।

ফারিয়া শাহরিন।

 ফারিয়া শাহরিন

বর্ষবরণের দিনটি এবার ঘরেই কাটাব। এবারের পয়লা বৈশাখ ঘরোয়াভাবে উদযাপন করব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পান্তা ইলিশ খেয়ে বর্ষবরণ করব। এবার যে গরম পড়েছে এর মধ্যে পয়লা বৈশাখে বাইরে বের হওয়ার মোটেও ইচ্ছা নেই। ঘরে বসেই প্রাণের এ উৎসব কাটাব বলে ভেবে রেখেছি।

 

 

মৌটুসী বিশ্বাস।

মৌটুসী বিশ্বাস

চৈত্র সংক্রান্তিতে কিছু ধর্মীয় নিয়ম-কানুন পালন করতে হয়। আমরা নিরামিষ খেয়ে থাকি। আমি এমনিতেই ভেজিটেরিয়ান। পঞ্জিকামতে এবার পহেলা বৈশাখ ১৫ তারিখে। কিন্তু এদেশের মানুষ ১৪ তারিখে তা উদযাপন করবে। রোজার মধ্যে উৎসব কেমন হবে বুঝতে পারছি না। কয়েক বছর পরপর চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ মিলে যায়। তখন ভালো লাগে। এবার মিলছে না, একটু তো খারাপ লাগছে। খাওয়াদাওয়া নিয়ে ভাবছি না। মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে ইদানীং মত-দ্বিমত দেখা যায়। এই বিতর্ক আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। বাংলা বছরে বাংলাদেশি হয়ে আমার প্রার্থনা থাকবে, সম্প্রীতিটা যেন বজায় রাখতে পারি।

কাজী নওশাবা আহমেদ।

কাজী নওশাবা আহমেদ

আমি ভেবেচিন্তে চলি না। পয়লা বৈশাখে নিরাপত্তার বিষয় থাকে। আমি সবসময় বাচ্চাদের নিয়ে থাকি। তাই সারাদিনই আমার উৎসব। আলাদা করে পয়লা বৈশাখ নিয়ে পরিকল্পনা নেই। বাবাকে ছাড়া আমাদের এটিই প্রথম বৈশাখ। তাকে ছাড়া পয়লা বৈশাখের আমেজ থাকে না। তিনি বছরের অর্ধেক সময় পান্তা খেতেন। ভর্তা থাকত পাতে। সারা বছর মাছ ভাজা খেতেন। তিনি মাছে ভাতে বাঙালি ছিলেন। মাংস খেতেন না। আমিও তার মতো হয়েছি। আমি মনে করি আমাদের সংস্কৃতি একদিন নয়, সারা বছর এ চর্চা চালিয়ে গেলে ছোটদের মাঝে এ সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫