এক গরু কয়েকবার কোরবানি করা অসততা, বিদ্যানন্দ প্রসঙ্গে ফারুকী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:১৯

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: সংগৃহীত
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দকে নিয়ে ফেসবুকে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এবার বিদ্যানন্দকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যেটা খারাপ কাজ, সেটাকে খারাপ বলতে আমার দ্বিধা নাই। আরেক পেজ থেকে ফটো নিয়ে নিজেদের বলে চালানো নিঃসন্দেহে অসততা! এক গরু কয়েকবার কোরবানি করাও অসততা। এক মজিদ চাচাকে সব জায়গায় হাজির করা হয়ে থাকলে, সেটাও অসততা নিশ্চয়ই। এগুলো কোনোভাবেই ভালো ইমপ্রেশন দেয় না।’
ফারুকী লিখেছেন, ‘এখন এটা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের অপরিপক্কতা কি না, সেটা মানুষ বিবেচনা করতে যাবে না। এর দায় টপ ম্যানেজমেন্টের উপরও নিশ্চয়ই বর্তাবে। যদিও এগুলা কোনোটাই এখন পর্যন্ত এরকম কিছু প্রমাণ করে না যে, তারা ফান্ডের অপব্যবহার করেছে, বা তারা আসলেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সৃষ্টি।
ফারুকী আরও লিখেছেন, ‘বিদ্যানন্দকেই তাদের এই আবর্জনাগুলা পরিষ্কার করতে হবে। যারা বিদ্যানন্দকে আতশী কাচের নিচে রেখেছেন, রাখেন! তাদের ভুল দেখলে ধরিয়ে দেন। কিন্তু এটাকে যেন একটা প্রায় যুদ্ধের পর্যায়ে আমরা নিয়ে না যাই। বিদ্যানন্দের কাজ আমাদের চোখে পড়েছিল, ভালো লেগেছিল, সেই জন্য প্রশংসা করেছি। খারাপ কাজ করলে সমালোচনা করতে এক মুহূর্তও দেরি করব না।’
এরপর নির্মাতা লিখেছেন, ‘অনেকেই আমাকে লিখেছেন, আপনারা তো আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিয়ে লিখেন না! ভাই, জানলে বা তাদের কাজ চোখে পড়লে অবশ্যই লিখব। আমি কোনো ক্যাম্পান্ধ (ক্যাম্পের অন্ধ অনুসারী অর্থে) মানুষ না, ভাই। আমার বাবা তার জীবনের তিরিশ বছর কাটিয়েছিলেন মসজিদ-মাদ্রাসা আর চ্যারিটি নিয়ে। কে চ্যারিটি করছে, সেটা নিয়ে আমার কোনোই উত্তেজনা বা বিরাগ নাই।’
‘বিড়াল সাদা না কালো, তার চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারছে কি না। আপনাদের কাছেও যেন এটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, এই দোয়া করি। বিড়ালের রং বা পরিচয় দিয়ে যেন বিড়ালকে জাজ না করি আমরা।’
মজিদ নামের একই ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে আলাদা আলাদা ঘটনার জন্য পোস্ট দেয়া ও ফেসবুকের একটি গ্রুপ থেকে নিয়ে কোনো ক্রেডিট ছাড়াই কয়েকটি ছবি দিয়ে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়তার আহ্বান জানানো, সমুদ্র সৈকতে নিজেরা ময়লা ফেলে পরিষ্কার করাসহ নানা কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার একুশে পদক পাওয়া সংগঠনটি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিভিন্ন সময় বিদ্যানন্দের ভালো কাজের প্রশংসা করে এসেছেন। বিদ্যানন্দকে নিয়ে এসব প্রচারে তিনি যারপরনাই বিব্রত। বিব্রত আরও যারা বিভিন্ন সময় বিদ্যানন্দকে সমর্থন দিয়ে এসেছেন। সকলের প্রত্যাশা বিদ্যানন্দ সততার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাক।