
পরীমণি ও তার ছেলে রাজ্য, ডানে ‘মা’ ছবির পোস্টার। ছবি: ফেসবুক
পেশাদারিত্বের সীমানা পেরিয়ে কখনও কখনও কাজ হয়ে ওঠে ব্যক্তিজীবনের অংশ, আবেগ-অনুভূতির অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। চিত্রনায়িকা পরীমণির ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে ‘মা’ সিনেমায়।
অরণ্য আনোয়ার নির্মিত এই ছবিতে তিনি মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আর ছবিটির শুটিংয়ের সময় বাস্তবেও ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। ফলে একদিকে চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে অন্তহীন আবেগ নিয়ে কাজটি করেছেন এই নায়িকা।
এবার সেই সময়ের অভিজ্ঞতার টুকরো কিছু স্মৃতি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শেয়ার করলেন পরীমণি ও নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার। এতে দুজনেই জানালেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কতটা কঠিন পরিস্থিতি সামলে শুটিং করেছেন পরী। যখন পানি খেলেও তার বমি আসে, তখন তাকে বুভুক্ষুর মতো খাওয়ার দৃশ্যে কাজ করতে হয়েছিল! সেই কঠিন সময় উতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুরো টিমের স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা ছিল বলে জানান পরী।
তার ভাষ্য, ‘অনেক ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে কাজ করতে হয়েছিল। কখনও আমার মন খারাপ ছিল, টিমের অন্যরা আমাকে উৎসাহ দিয়েছে। আবার কখনও পুরো টিম চিন্তায় ছিল, তখন আমি সাপোর্ট দিয়ে বলেছি, পারবো।’
‘মা’ চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে প্রচলিত ট্যাবুও ভেঙেছেন পরীমণি। কেননা এমন বয়সে, নায়িকা হয়ে সাধারণত কেউ মায়ের ভূমিকায় ক্যামেরার সামনে আসতে চান না। এ বিষয়ে পরীর ব্যাখ্যা, ‘আমি ‘মা’ সিনেমাটি করব, এটা যখন খবরে আসে, তখন প্রথম যে শিরোনাম আমার চোখে পড়ে, সেটা ছিল- ট্যাবু ভাঙলেন পরীমণি। ক্যারিয়ারের এই সময়ে, এমন বয়সে মা চরিত্রে অভিনয় করার বিষয়টি সেখানে তুলে ধরা হয়। কিন্তু বয়স কিংবা ক্যারিয়ার বলতে কী বোঝায়, আমি আসলে সেভাবে খুঁজতে চাইনি, এখনও চাই না। একজন নায়িকা মায়ের চরিত্রে কাজ করতে পারবে না, এই ধারণায় আমার আপত্তি আছে।’
এই ছবিকে শুধু একটি কাজ হিসেবে নয়, বরং জীবনের বিশেষ একটি অংশ হিসেবেই মনে রাখতে চান পরীমণি। আপ্লুত কণ্ঠে বললেন, ‘আমি জানি না, এই ছবিটা হিট হবে কিনা, দর্শক দেখবেন কিনা, এই সংজ্ঞার মধ্যেই যেতে চাই না। কিন্তু আমার অভিনয় জীবনে, ব্যক্তিগত জীবনে, পুরো জার্নিতে এই অংশটা আমি ফ্রেমবন্দি করে রাখতে চাই এবং আমি আমার রাজ্যকে এটা গিফট করতে চাই যে, তুমিও ছিলে আমার সাথে।’
মা দিবস উপলক্ষে আগামী ১৯ মে এটি মুক্তি পাবে দেশ ও বিদেশে।