
আদর আজাদ। ছবি: সংগৃহীত
আদর আজাদ। বর্তমানে ঢালিউডের সম্ভাবনাময় অভিনেতাদের তালিকা করলে এগিয়ে থাকবেন তিনি। অনবদ্য অভিনয় ও নায়কোচিত চেহারা দিয়ে এরই মধ্যে দর্শকের হৃদয় জয় করেছেন এ অভিনেতা। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লোকাল’ ছবিটি তার প্রমাণ। আদরের সঙ্গে সাম্প্রতিক দেশকালের কথোপকথনে উঠে এসেছে বিভিন্ন বিষয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেদি হাসান।
ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর মধ্যে আপনার অভিনীত ‘লোকাল’ বেশ আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছে। এমনটা কি প্রত্যাশিত ছিল?
না, মোটেও প্রত্যাশিত ছিল না। কখনো ভাবিনি ছবিটি এত আলোচিত হবে। হ্যাঁ, আমি কাজটি করেছিলাম। ভালো একটি কাজ ছিল। এটা দৃঢ় বিশ্বাস ছিল। কিন্তু আলোচনায় আসাটা প্রত্যাশায় ছিল না। আমি উল্টো ছবিটি যতবার দেখেছি নিজের কাজের ঘাটতিগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। ভুলগুলো দেখে আফসোস হয়েছে। মনে হয়েছে ওই জায়গাগুলোয় যদি আরও ভালো করতে পারতাম।
অনেকের মন্তব্য অন্য সময় মুক্তি পেলে ছবিটি আরও ভালো করত। আপনার কী মনে হয়?
আমি বিষয়টাকে প্রাপ্তি হিসেবে দেখছি। এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত আটটি সিনেমার মধ্যে লোকাল নিয়ে মানুষ আফসোস করছেন। তারা মনে করছেন, ছবিটি অন্য সময় মুক্তি পেলে ভালো করত। তার মানে আমাদের ছবিটি দর্শকের ভালো লেগেছে। এতগুলো ছবির মাঝে তাদের এই মন্তব্য অবশ্যই লোকালের কৃতিত্ব।
ঢালিউডে আদর-বুবলী জুটির সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার মন্তব্য কী?
হ্যাঁ, এরই মধ্যে অনেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। আমাদের একাধিক ছবিতে দেখে জুটি হিসেবে ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখা গেছে। তবে তা কতটা সম্ভাবনাময় তা দুই-একটি ছবির ওপর ভিত্তি করে বলা যায় না। এই পথচলা যদি সফলতার সঙ্গে দীর্ঘ হয় তবেই বোঝা যাবে আমরা জুটি হিসেবে সম্ভাবনাময়ী কি না।
সম্প্রতি লিপস্টিক নামের একটি ছবিতে যুক্ত হয়েছেন। আপনার বিপরীতে কলকাতার দর্শনা বণিক অভিনয় করবেন। এটি নিয়ে জানতে চাই।
লোকাল মুক্তির পর আমি প্রায় আট-দশটি ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু লিপস্টিকের গল্প পড়ে আমার মনে হয়েছে, এটি আসলেই দারুণ একটি ছবি হবে। এটি দেখতে মানুষ সিনেমা হলে যাবে।
এই ছবিতে কী এমন থাকবে যে মানুষ হলে যাবে বলে মনে করছেন?
এই ছবির প্রধান আকর্ষণ গল্প। মানুষ পছন্দ করবে এমন রসদ আছে এই ছবিতে। আমি মনে করি গল্পের টানেই মানুষ হলমুখী হবেন। লিপস্টিকের টানে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে যাবেন।
আপনি এই মুহূর্তে ব্যস্ত নায়কদের একজন। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
এটা দর্শকের ব্যাপার। আমার এখানে কিছু বলার নেই। তাদের যাকে ভালো লাগবে তাদের নিয়ে এমন কথাই বলবে। তবে হ্যাঁ, হয়তো তারা আমার মাঝে, আমার অভিনয়ে আস্থা পেয়েছে। হয়তো আমার মাঝে কোনো সম্ভাবনা পেয়েছে। এ কারণেই হয়তো এমন মন্তব্য করছে।
কোরবানি ঈদেও বেশকিছু ছবি মুক্তি পাবে। বাংলা ছবির সুদিন কি ফিরে আসছে বলে মনে করেন?
হ্যাঁ, অবশ্যই। আপনি দেখেছেন এবারের ছবিগুলো নিয়ে দর্শকের উচ্ছ্বাস। তার মানে আমাদের ছবির প্রতি দর্শকের আগ্রহ বাড়ছে। তারা সব কটি ছবি নিয়েই আলেচনা করেছেন। তার মানে সব ছবিই কম-বেশি দেখেছেন তারা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলা ছবির দিন ফিরে আসবে বলে আশা করি।