
জিনাত সানু স্বাগতা। ছবি: ফেসবুক
জিনাত সানু স্বাগতা। শুধু অভিনয় নয়, গানও করেন তিনি। ‘মহাকাল’ শীর্ষক একটি ব্যান্ড দল ছিল তার। এ ব্যান্ড নিয়ে কনসার্টও করেছেন। এবার স্বাগতা নিয়ে এলেন নিজের গানচিত্র। গেল ২ জুন তিনি প্রকাশ করেন নতুন গান ‘সে সামথিং’। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি অবমুক্ত করেন তিনি। গানটিতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন হাসান আজাদ। সংগীত আয়োজন করেছেন স্বাগতার ভাই সন্ধি। গানচিত্র নির্দেশনা দিয়েছেন অনিন্দ্য কবির অভীক। অভিনয়-গান ও নানা বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক।
‘সে সামথিং’-এর প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
এখন পর্যন্ত ভালো সাড়া পেয়েছি। আরও কিছুদিন গেলে বোঝা যাবে দর্শক কীভাবে নিচ্ছে। আমি চেয়েছি দর্শক-শ্রোতাদের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসতে। সেদিক থেকেই এ গানটি করেছি।
গান নিয়ে পরবর্তী ভাবনা কী?
আরও কয়েকটি গান করার ইচ্ছে আছে। গানগুলোর প্রস্তুতি চলছে। মিউজিক ভিডিও করা হবে। আসলে অনেক দিন তো অভিনয় করলাম। এখন গান করার ইচ্ছে হচ্ছে। আমার পরিবারের অন্যরাও নিয়মিত গান করছে। আমিই শুধু অভিনয়ের কারণে অনেক দিন গান থেকে দূরে ছিলাম। এখন থেকে এভাবেই আমাকে গানে পাওয়া যাবে।
আপনাকে সর্বশেষ ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ছবিতে দেখা গেছে। আগামী ছবিগুলোর কী খবর?
মিশুক মনির সরকারি অনুদানের ছবি ‘দেয়ালের দেশ’-এ অভিনয় করছি। এ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে রূপদান করছি। অন্তর্মুখী এবং অন্যরকম একটি চরিত্র। এমন একটি মহিলার চরিত্র যার মনে জীবনের নানা ঘটনা ঘুরপাক খায়। তার ভেতরের কথা বলে। আরেকটি ছবি অরুণা বিশ্বাসের ‘অসম্ভব’। এটিও সরকারি অনুদানের ছবি। এখানে পাঁচটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমি কখনো যাত্রা করিনি। এ ছবিতে আমি একজন যাত্রা শিল্পীর চরিত্রে রূপদান করেছি। আমার নিজের একটি চরিত্রও আছে। এ ছবির শুটিং করে আনন্দ পেয়েছি। এখানে নাচ, ফাইট সব ছিল। অনেক মজা করে শুটিং করেছি।
চলতি বছরে কয়েকটি সিনেমা বেশ আলোচনায় এসেছে। আসছে ঈদেও অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পাবে। আপনি কি সিনেমায় নিয়মিত হবেন?
আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা দিয়ে দর্শকের কাছে বেশ প্রশংসিত হই। সে সিনেমায় মান্না ভাই ও মৌসুমী আপু ছিলেন। আমি বাণিজ্যিক সিনেমা দিয়েই পরিচিতি পেয়েছি। সিনেমায় অভিনয় করতে সব সময় প্রস্তুত আছি। কিন্তু আমার মনের মতো চরিত্র না পেলে কাজ কীভাবে করব?
টিভি নাটকের ব্যস্ততা কেমন?
এখন দুটো সিরিয়ালে অভিনয় করছি। একটি আকাশ রঞ্জনের ‘বৌ-শাশুড়ি’; অন্যটি ‘নায়িকা সংঘ’। প্রথমটি বৈশাখী টেলিভিশনে ও পরেরটি একুশে টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে।
এ সময়ে নাটকের মান কেমন হচ্ছে বলে মনে করেন?
আমাদের এখন টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু টিভি চ্যানেলগুলো নাটকের জন্য বেশি বাজেট দেয় না। বিশেষ দিবসের বাইরে টিভি চ্যানেলগুলোর নাটকের বাজেট কম বলতে হয়। বেশিরভাগ টিভি চ্যানেলের ধারাবাহিকগুলো দর্শক টানতে পারে না। তবে এ সময়ে একক নাটকগুলো দর্শক বেশি দেখছে।