Logo
×

Follow Us

বিনোদন

‘১৯৭১ সেই সব দিন’ ছবিটি নতুন প্রজন্মের দেখা প্রয়োজন: তারিন

Icon

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৩, ১০:৪৪

‘১৯৭১ সেই সব দিন’ ছবিটি নতুন প্রজন্মের দেখা প্রয়োজন: তারিন

তারিন জাহান। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী তারিন জাহান। শৈশব থেকেই ছোটপর্দায় অভিনয় করছেন তিনি। অভিনয় দক্ষতায় দর্শকের মন কেড়েছেন। তার অভিনীত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৮ আগস্ট। অভিনেত্রী হৃদি হক পরিচালিত এ ছবির নাম ‘১৯৭১ সেই সব দিন’।

সরকারি অনুদানের এ ছবি প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক দেশকালের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- মোহাম্মদ তারেক।

হৃদি হক পরিচালিত ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ ছবির মাধ্যমে দর্শক আপনাকে বড়পর্দায় দেখবে। ছবিটি নিয়ে কী বলবেন?
হৃদি হক কিংবা আমি- আমরা মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী প্রজন্ম। বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্বন্ধে জেনেছি। হৃদির সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই পরিচয়। ওদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতাম। ওর নির্দেশনায় নাটক করিনি। তবে ওর কাজ দেখতাম। ও ভালো নির্মাতা। এ ছবিতে আলাদা কোনো নায়ক-নায়িকা নেই। ১৯৭১ সালের পটভূমিই ছবির নায়ক। এ ছবির প্রতিটি চরিত্রের গুরুত্ব রয়েছে। হৃদির সঙ্গে যখন বসি, ওর চোখে স্বপ্ন দেখেছি। সে ড. ইনামুল হক আঙ্কেলের গল্পে ছবিটি বানিয়েছে। আঙ্কেল দেখে যেতে পারেননি ঠিক; তবে তার আশীর্বাদ হৃদির সঙ্গে আছে। 

এ ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

হৃদি প্রি-প্রোডাকশনে প্রচুর সময় দিয়েছে। ৭১’র সে সময়কে ধরতে চেয়েছে। সে যুগের গাড়ি সংগ্রহ করেছে। প্রতিটি দৃশ্যে বিস্তারিত কাজ করেছে। শুটিংয়ের বাইরে আমাদের প্যাচওয়ার্ক করতে হয়েছে। হৃদির ভালো না লাগায় রিশুট করতাম। সে মানের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়নি। এভাবে ধরে ধরে কাজ করলে নির্মাতার প্রতি শিল্পীর বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হয়। এ ছবিতে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে গুণী শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। আমার বিপরীতে আছেন লিটু আনাম। ছবিতে বাংলাদেশ ব্লকের মানুষের মতো পাকিস্তান ব্লকের চরিত্রের গল্পও আছে। আমি পাকিস্তান ব্লকের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার চরিত্রটি কেমন তা ছবিটি দেখেই দর্শক জানুক।

ইতোমধ্যে ‘১৯৭১ সেই সব দিন’-এর ‘যাচ্ছো কোথায়’ ও ‘ইয়ে শামে’ গান দুটো অন্তর্জালে প্রকাশ পেয়েছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
দুটো গানেই দর্শকের ব্যাপক সাড়া মিলছে। দর্শকের মতে ৬০ ও ৭০ দশকের ছবির মিষ্টি স্বাদ পাওয়া গেছে। 

ছবিটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
এ ছবি মুক্তিযুদ্ধের গতানুগতিক ছবির চেয়ে আলাদা। এ ছবিতে প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি আছে পারিবারিক গল্প। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল তাদের জীবনযাত্রাও উঠে এসেছে গল্পে। এমন ছবি নতুন প্রজন্মের দেখা প্রয়োজন। তারা ছবিটি দেখে হতাশ হবে না, এটুকু বলাই যায়। তা ছাড়া এখন দর্শক বাংলা ছবি দেখতে হলে যাচ্ছে। দর্শককে ধন্যবাদ, তাদের জন্যই নির্মাতারা ভিন্নধর্মী গল্পে কাজ করতে উৎসাহ পাচ্ছে।

আপনার অন্যান্য কাজের ব্যস্ততা কেমন?
আমি শরাফ আহমেদ জীবনের পরিচালনায় একটি অনুদানের ছবির শুটিং করছি। এ ছাড়া এস এ হক অলিকের পরিচালনায় একটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ শুরু করব। আগামী পূজায় কলকাতায় মুক্তি পাবে মানসী সিনহা পরিচালিত ‘এটা আমাদের গল্প’ ছবিটি। এটি একটি দারুণ ব্যাপার ঢাকা ও কলকাতায় দুটো ছবিতে অভিনয় করলাম যেগুলোর পরিচালক নারী। কলকাতার ছবির গল্পটিও গতানুগতিক নয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫