Logo
×

Follow Us

বিনোদন

বাংলাদেশে উপস্থাপনা পেশা হিসেবে গড়ে ওঠেনি: তাসনুভা

Icon

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৪৫

বাংলাদেশে উপস্থাপনা পেশা হিসেবে গড়ে ওঠেনি: তাসনুভা

তাসনুভা মোহনা। ছবি: সংগৃহীত

তাসনুভা মোহনা। উপস্থাপনায় ধীরে ধীরে নিজের দৃঢ় অবস্থান গড়ে তুলছেন তিনি। একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে সঞ্চালনা করছেন এ গ্ল্যামারকন্যা। নিজের ভাবনা ও নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক।

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
কয়েকটি টেলিভিশনে নিয়মিত কিছু শো করছি। তার মধ্যে রয়েছে এশিয়ান টেলিভিশনে ‘এশিয়ান মিউজিক’, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরে ‘সকাল টোয়েন্টি ফোর’, গ্লোবাল টেলিভিশনে ‘শোবিজ টুডে’ ও এটিএন বাংলায় ‘বিজনেস পয়েন্ট’। এ ছাড়া প্রতি মাসে বৈশাখী টেলিভিশনে করছি ‘গোল্ডেন সং’। এর সঙ্গে করপোরেটের বিভিন্ন ইভেন্ট সঞ্চালনা করছি।

কোন ধরনের শো করার ইচ্ছে আছে, যা এখনো করা হয়ে ওঠেনি?
আমি বিভিন্ন ধরনের শো উপস্থাপনা করেছি। তার মাঝে মিউজিক্যাল শো বেশি। তবে যে ধরনের শো উপস্থাপনা করতে চাই এখনকার শোগুলো তেমন নয়। এ সময়ের অধিকাংশ শোতে সুড়সুড়ি দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কয়েক বছর আগের শোতে এমন কিছু দেখা যেত না। অতিথিকে বিব্রতকর প্রশ্ন করত না। অতিথিরাও এমনভাবে কথা বলতেন যা শুনতে ভালো লাগত। এখনো হুমায়ুন ফরীদি, সুবর্ণা মুস্তাফাদের সাক্ষাৎকার দেখলে অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। আমি এ ধরনের সাক্ষাৎকারমূলক শো সঞ্চালনা করতে চাই। যেখানে দর্শকের প্রতি দিকনির্দেশনা থাকবে। থাকবে অনুপ্রেরণার রসদ। যেখানে অতিথি কিংবা সঞ্চালক নয়, সাক্ষাৎকারটাই হয়ে উঠবে তারকা। দর্শক যা শেষ না করে উঠবে না।

উপস্থাপনা পেশায় চ্যালেঞ্জ কেমন দেখছেন?
সত্যি বলতে আমি সবার অনুষ্ঠান দেখি। তবে অনুসরণ করি না। প্রভাবমুক্ত থাকার চেষ্টা করি। নিজের অনুষ্ঠান দেখে আরেকটু ভালো কীভাবে করা যায় সে চেষ্টা করি। গতকাল যে শো করলাম, আগামীকালের শোতে তার চেয়ে ভালো করার প্রচেষ্টা থাকে সবসময়। অর্থাৎ আমার চ্যালেঞ্জ নিজের সঙ্গেই।

কেউ যদি উপস্থাপনায় আসতে চায়, তাকে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে?
প্রত্যেকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে। অন্যদের গুণগুলো দেখতে হবে। ভালো উপস্থাপনার চেষ্টা করতে হবে। পিআর মেইনটেইন করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাহলে মানসম্পন্ন কাজ হাতে আসবে। মেধা থাকলে কাজ পাওয়া সহজ হয়।

এক সময় হানিফ সংকেত, আবদুন নূর তুষার, আনজাম মাসুদ প্রমুখ নিজেদের শো দিয়ে সারাদেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এখন তেমন শো দেখা যায় না। বিষয়টি নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

বাংলাদেশে এখনো কেউ উপস্থাপনা পেশা হিসেবে নিতে পারে না। একজন অভিনয়শিল্পী বা কণ্ঠশিল্পীকে যে মূল্যায়ন করা হয়, একজন উপস্থাপককে সে মূল্যায়ন করা হয় না। তা ছাড়া একজন উপস্থাপক অনেক জায়গায় কাজ করেন। তাই নির্দিষ্ট শো দিয়ে দর্শকপ্রিয় হওয়া কঠিন। তবে পরিচিতি আছে প্রায় সবারই। যেমন  কয়েক দিন আগে কক্সবাজারে একটি শো করতে গিয়েছিলাম। সেখানে মানুষজন নাম ধরে বলছিল আমার শো দেখেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসে ছবি তুলেছে। একটি মেয়ে লাইভ শোতে কল করে। সে বলে, আমি যে শোতে থাকি সে শো সে দেখে। সুযোগ থাকলে কল করে। একজন উপস্থাপক হিসেবে এটি আমার অন্যতম পাওয়া।

অভিনয়ের প্রস্তাব পান?
হ্যাঁ, নিয়মিত পাই। কিছুদিন আগে একটি সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তখন আবার একটি করপোরেট ইভেন্টের শিডিউল দেওয়া ছিল। তাই কাজটি করা হয়নি। তবে আমার কাছে বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব বেশি আসে। তাই বিজ্ঞাপনে কাজ করা হয়। আইএফআইসি ব্যাংকের বিজ্ঞাপন করলাম। চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপন করেছি। ফজলুর রহমান বাবু ভাইয়ের সঙ্গে বিজ্ঞাপন করার সময় তিনি উৎসাহ দিয়েছেন। তাই অভিনয়ের ইচ্ছেটা আরও জেগেছে। আমি অভিনয় করতে চাই, দেখতে চাই কাজটা কেমন পারি। 

গান নিয়েও কাজ করছেন?
আমরা কয়েকজন মিলে একটি ব্যান্ড দল গঠন করেছি। নিয়ম করে অনুশীলন করছি। যারা আছেন তারা পেশাদার মিউজিশিয়ান। আমি ফেরদৌস আরা ম্যামের কাছে গান শিখেছি। অনেক বছর পর আবার গানে ফেরার চেষ্টা করছি। কবে গান নিয়ে আসতে পারব নিশ্চিত নই। তবে শিগগির দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেব।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫