
সুষমা সরকার। ছবি: সংগৃহীত
অভিনেত্রী সুষমা সরকার। সমানতালে তিনি কাজ করছেন মঞ্চ, টেলিভিশন ও সিনেমায়। বর্তমানে বড়পর্দায় তার ব্যস্ত সময় কাটছে। নিজের কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক।
সম্প্রতি নতুন একটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। এটি নিয়ে নিয়ে জানতে চাই
আমিনুর রহমান খানের পরিচালনায় নির্মিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘ভোর’। এটি সরকারি অনুদানের ছবি। টানা শুটিং করে দৃশ্যধারণের কাজ শেষ করেছি। বেশ ভালো একটি গল্পের ছবি। এ কাজটি নিয়ে ব্যস্ত সময় কেটেছে।
আপনার অন্য ছবিগুলো কোন পর্যায়ে আছে?
রফিকুল আনোয়ার রাসেলের পরিচালনায় ‘একাত্তর করতলে ছিন্নমাথা’ শীর্ষক একটি ছবির কাজ করছি। আর দুই দিনের শুটিং বাকি আছে। হাসান আজিজুল হকের প্রবন্ধ অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত হচ্ছে। এ ছাড়া রায়হান খানের ‘পায়েল’ ছবিতে কাজ করছি। সামনের মাস থেকে আমার চরিত্রের দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হবে। নুরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ চলতি বছরের শেষে মুক্তির সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘ছায়া’ ছবির ডাবিং শেষ হয়েছে।
ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসে কোন ধরনের চরিত্রে মনোযোগ দিয়েছেন?
আমাদের দেশে দেখা যায়, যখন যে চরিত্র দর্শকপ্রিয় হয় তখন সে চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব বেশি আসে। শিল্পীকে সে ধরনের চরিত্রে বেশি নেওয়া হয়। সম্প্রতি ‘ছায়া’ ছবিতে আমি একটি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ ছবি দেখার পর হয়তো আমাকে এমন চরিত্রেই ভাববে সবাই। আসলে আমি ভালো সিনেমা করতে চাই। যার ছাপ দর্শকের মাঝে রয়ে যায়। যেমন গ্রামেগঞ্জে গেলে মানুষজন ‘নবাব এলএলবি’ ছবির কথা বলে। আমার অভিনয়ের প্রশংসা করে।
নিজের অভিনীত নাটক বা সিনেমা দেখা হয়?
হ্যাঁ, সুযোগ পেলে দেখি। নিজের কাজ দেখলে ভুল চোখে পড়ে। মনে হয় আরও ভালো করার জায়গা ছিল। শুটিংয়ের পর মনে হয় এই শট কেন এভাবে দিলাম না।
চলতি সময়ে সিনেমার দর্শক বাড়ছে। দর্শকদের হলে ধরে রাখার জন্য করণীয় কী?
আমি বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছি। সব ছবিই দর্শক কমবেশি দেখছে। দর্শক হলে ফিরেছে। তাদের ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের এমন ছবি দিতে হবে যাতে তারা হলবিমুখ না হয়।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
আমি ওটিটিতে ঠিকঠাক কাজ করতে চাই। একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন ওটিটিতে ছেলেদের যতটা ফোকাস করা হয় মেয়েদের ততটা করা হয় না। মেয়েদের কাজের জায়গা সীমিত। একদমই কাজ হচ্ছে না বলা যাবে না, তবে তুলনামূলক কম।
আমাদের দেশে প্রতি ঈদে প্রচুর নাটক নির্মিত হয়। ওটিটিতেও অনেক কনটেন্ট প্রকাশ হয়। কিন্তু দর্শক সবগুলো কাজ দেখে না। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
দেখুন, দর্শকের এখন ধৈর্য কম। তারা ছোট ছোট ক্লিপ দেখতে পছন্দ করে। আমার কাছে যেমন ওটিটিতে সাবস্ক্রাইব করে কনটেন্ট দেখার প্রক্রিয়া জটিল মনে হয়। এরকম অনেকেই আছেন। প্রক্রিয়াটা সহজ হলে দর্শক ওটিটিতেও বাড়বে। এসব কারণে দর্শকের কাছে সব পৌঁছায় না।
ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা কী?
নিজেকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। নিজেকে যত বেশি ভাঙা যাবে তত বেশি ভালো কাজ হবে।