
‘অচলায়তনের অপ্সরী’ নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
গঙ্গা যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় আজ রবিবার (৮ অক্টোবর) মঞ্চস্থ হবে অচলায়তনের অপ্সরী। এটি প্রযোজনা করেছে পুলিশ থিয়েটার।
নাটকের ঘটনাক্রম সম্পর্কে জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে এথেন্সের আইন প্রনেতামি. সোলেন সর্ব প্রথম পতিতাবৃত্তিকে আইনী বৈধতা দিয়েছিলেন। তারপর থেকে দেশে দেশে বৈধতা পেতে থাকে সামাজিকভাবে ঘৃণিত এই পেশাটি। আমাদের উপমহাদেশে মুঘল ফিরিঙ্গিরা এসে তাদের সৈন্যদের মনোরঞ্জনের জন্য পতিতালয় স্থাপন করে। জোরপূর্বক এই পেশায় নিয়োজিত করা হয় ভারতীয় নারীদের। সেই ধারাবাহিকতারই অংশ দৌলতদিয়া পতিতাপল্লী। এখানে বিক্রি হওয়া এক তরুণী নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে উপলদ্ধি করে প্রভাবশালীদের দ্বারা তৈরি এটি একটি শক্ত অচলায়তন। উপলব্ধি করে কোন স্বাধীনতা কোন মানবাধিকার নেই এখানকার বাসিন্দাদের। এমনকি এদের সন্তানরাও এই অচলায়তনে বন্দি। এরই মধ্যে দেখা পায় একজন পুলিশ অফিসারের। যিনি এগিয়ে আসেন এদের মানবাধিকার রক্ষায়। প্রচেষ্টা চালান তাদের সন্তানদের সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসতে। পুলিশ অফিসারকে সহায়তা করায় প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়ে মেয়েটি। খুনের অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় তাকে।
দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীকে উপজীব্য করে সত্যাশ্রয়ী ,গবেষণালব্ধ ‘অচলায়তনের অপ্সরী’ নাটকটির কাহিনী এভাবেই গড়ে উঠেছে। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রহমান।
এতে অভিনয় করেছেন রাকিবুল হাসান, রানী তামান্না তমা, বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, বিনয় কুমার, সাদিয়া আক্তার মিতু, সুখী আক্তার, শামীম চৌধুরী (পাপন), মাহবুব আলম সবুজ, ওমর ফারুক রনি, জাহিদ রহমান, সোহাগ হোসাইন, আলী আকবর, শোয়াইবুর রহমান, দীপা রানী, মেহেদী হাসান (প্রিন্স), সিফাত আলম, মিজান, রুহুল আমিন (হিরো), শামীম ইসলাম, মোঃ নুরু মিয়া, হাসিবুর রহমান শান্ত, নুসরাত শারমীন, ফারিহা আলমগীর, ইতু।
নেপথ্যে যারা কাজ করেছেন-
মিউজিকপ্রক্ষেপণ: সৌরভ দাস
আলোক পরিকল্পনা: অম্লান বিশ্বাস
আলোক প্রক্ষেপণ: লিমন মীর
সেট ডিজাইন: নুরুমিয়া
কসটিউম ডিজাইন: তামান্না তমা
মিউজিক ডিরেক্টর: সোহাগ হোসাইন
মঞ্চ সজ্জা: শোয়াইবুর রহমান, নুরু মিয়া
রুপসজ্জা: রুহুল আমিন (হিরো)
সঙ্গীত: জাহিদ রহমান
অন্যান্য সহযোগীতায়: ফারুক হোসেন, মোক্তাদির, হাসান ইমাম।