গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে আজ রবিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটায় মঞ্চস্থ হবে ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ইমদাদুল হক মিলন রচিত নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। 

ঢাকার অন্যতম নাট্যদল এথিক তাদের দ্বাদশ মঞ্চ প্রযোজনা হিসেবে মঞ্চে নিয়ে এসেছে ইমদাদুল হক মিলনের ব্যাপক আলোচিত গল্প ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’। নাটকটির নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় রয়েছেন সময়ের আলোচিত নাট্যকার নির্দেশক রেজানুর রহমান। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়নের আয়োজন করা হয়েছিলো।

‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’ ইমদাদুল হক মিলনের এক অবিস্মরণীয় গল্প। বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙ্গালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে এ রকম গল্প বাংলা ভাষায় আর কেউ লেখেননি। একজন মহান নেতাকে দেশের অতি সামান্য এক মানুষ কতটা হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে পারে এই গল্পে তা প্রকাশ পেয়েছে। রতন মাঝি নামের গ্রামের অতি সাধারন বর্গা চাষী কৃষক তার প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কাছ থেকে দেখার জন্য নিজের হাতে চাষ করা কালিজিরা ধানের চিড়া নিয়ে আসে ঢাকা শহরে। রাষ্ট্রপতির বাসার সামনে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির জন্য তাকে ধরে আনা হয় নিকটস্থ থানায়। রতন মাঝির সরল স্বীকারোক্তিতে নেতার প্রতি গভীর ভালোবাসা ফুটে ওঠে। পুলিশ অফিসারের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আটকে রাখা হয় লকাপে। বেদনায় নীল হয়ে ওঠে রতন মাঝির রাত। রাত যখন ভোর হয় তখন আসে অনাকাঙ্খিত নেতা হত্যার দুঃসংবাদ। নেতা হত্যার প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞায় শান্ত রতন মাঝি হয়ে যায় অশান্ত।

নাটকে অভিনয় করেছেন- সুকর্ন হাসান, মিন্টু সরদার, মনি কানচন, হাসান রিজভী, আজিম উদ্দীন, মনিরুল হক ঝলক, প্রদীপ কুমার, তারেক চৌধুরী রিমন, মোঃ এসপি খান শাওন, রেজিনা রুনি, মাহফুজ আফনান অপ্সরা ও রুবেল খান প্রমুখ।

নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন- ফজলে রাব্বি সুকর্ন, আলোক পরিকল্পক অম্লান বিশ্বাস, পোষাক পরিকল্পক এনাম তারা সাকি, আবহ সঙ্গীত পরিকল্পক অসীম কুমার নট্ট, রুপসজ্জায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময় এবং নাটকের প্রচ্ছদ করেছেন প্রখ্যাত শিল্পী ধ্রুব এষ।