Logo
×

Follow Us

বিনোদন

তারকাদের পূজা

Icon

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১২

তারকাদের পূজা

অপু বিশ্বাস, মৌটুসী বিশ্বাস, দোলন দে ও সুষমা সরকার। ছবি: সংগৃহীত

বছর ঘুরে এসেছে শারদীয় দুর্গাপূজা। সাধারণের মতো তারকারাও মাতেন উৎসবে। তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন পূজার পরিকল্পনা। লিখেছেন মোহাম্মদ তারেক।

অপু বিশ্বাস : এবার পূজা ঢাকাতেই করব। জয়কে নিয়ে অনেক কিছু ভাবছি। কারণ জয়ই এখন সব কিছুতে মিশে আছে। পূজা একটা ট্র্যাডিশনাল বিষয়। ওই ট্র্যাডিশনাল লুকটা আমি আসলে বারবারই আনতে চাই। পূজার ওই ট্র্যাডিশনাল লুকটা ব্যক্তিজীবনে খুব একটা প্রেজেন্ট করা হয় না। হয়তোবা ফটোশুটের ক্ষেত্রে হয়। এবার যেটা ইচ্ছে আছে সেটা হলো গোল্ড দিয়ে আমাদের প্রতিমার যদি কোনো ডিজাইন করা যায় সেটা পূজায় পরার ইচ্ছা আছে। পূজায় পরিবারের অনেকেই আছেন যাদের গিফট দিতে হয়। এবারও সেটা করব। আশা করছি পূজা সবার আনন্দেই কাটবে।

মৌটুসী বিশ্বাস : আমি এবার খুলনায় বাবার বাড়িতে পূজা করব। আমার জন্য এবারের পূজা বিশেষ কিছু। কারণ শ্বশুর-শাশুড়িও সেখানে যাবেন। পারিবারিকভাবে পূজা কাটবে। আমাদের বাড়ির সঙ্গে মন্দির। সেখানে পূজা দেখতে যাব। পূজায় এবার বাসায় অতিথিরা আসবে বলে হোস্টের দায়িত্ব পালন করব। দুর্গাপূজায় আসলে দেখা যায় মায়ের কাছে সবাই লুটিয়ে পড়ে। অথচ বাড়ি ফিরলে পুরুষতান্ত্রিক আচরণ করে। আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিকতা থেকে বের হতে পারেনি। অথচ দুর্গা নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলে। কয়জন পুরুষ পূজা থেকে এই মানসিকতা নিয়ে ঘরে যায়? আমার সৌভাগ্য এমন পরিবারে বড় হয়েছি যেখানে এই বিষয়গুলো ছিল না। শ্বশুরবাড়ি এসেও এমন পরিবেশ পেয়েছি। তাদের তিন ছেলে যাদের প্রত্যেকেই প্রচণ্ড বিনয়ী। আমার মেয়েকেও আমি সেভাবে বড় করছি।

দোলন দে : পূজায় ঢাকায় থাকব। বনানী, সিদ্ধেশ্বরী ও বারিধারা ডিওএইচএসের মন্দিরে ঘুরতে যাব। বাসায় বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন আসবে। তাদের জন্য রান্না করব। আমি সাধারণত দশমীর দিন রান্না করি। অনেক কিছুই রান্না করা হয়। তবে শর্ষে ইলিশ সবাই পছন্দ করে। পূজায় কাছের বন্ধু ও আত্মীয়দের জন্য কেনাকাটা করছি। প্রতিবার তাদের উপহার দিয়ে থাকি। আমিও উপহার পাই অনেক। অবশ্য উপহার পেতেই বেশি ভালো লাগে। ছোটবেলায় পূজায় দায়িত্ব ছিল না। এ সময়ে এসে কাজের প্রতি দায়িত্ববোধ বেশি কাজ করে। আমি চেষ্টা করি যাতে ষষ্ঠী থেকে দশমী কোনো শুটিং না থাকে। যদি ভালো কাজ আসে তখন করতেই হয়। ঈশ্বর তো জানছেন আমি কেন মন্দিরে যেতে পারছি না। এবারও পূজায় আমার দুটো নাটক প্রচার হবে। পাশাপাশি নিয়মিত নাটকের কাজ চলছে।

সুষমা সরকার : পূজায় অনেক পরিকল্পনা করলেও সব করা যায় না। এবার সপ্তমীতে আমাদের গ্রামের বাড়ি ধামরাই যাওয়ার ইচ্ছে আছে। তারপর বাকি তিন দিন ঢাকায় কাটাব। বনানী, উত্তরা, কলাবাগানের মন্দিরে পূজা দেখতে যাব। পূজার সময়টায় বাইরেই খাওয়া হয় বেশি। দশমীর দিন বাসায় রান্না করব। খিচুড়ি, লাবড়া, আলুর দম এসব থাকে। দশমীতে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ ভাজা ও পোলাও করা হয়। সবাই পছন্দ করে। কেনাকাটা শেষ করেছি। উপহার পাঠিয়েও দিয়েছি। আমিও প্রচুর উপহার পেয়েছি। এ সময়ে এসে উপহার দিতেই বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে ছোটদের। তারা অপেক্ষা করে থাকে কী উপহার দেব তার জন্য। পূজায় শুটিং থাকলে মন খারাপ হয়। এবারও যেমন শুটিং পড়েছে। তবে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে শুটিং পড়ে গেলে করতে হয়। সিরিয়াল বা সিনেমার শুটিং থাকলে তা বাদ দেওয়ার সুযোগ থাকে না। আমি ছোটবেলার পূজায় অনেক মজা করতাম। তখন মামার বাড়িতে পূজা হতো। খেলা শেষে বিলে যেতাম। একেক দিন একেক জামা পরতাম। জামাগুলো লুকিয়ে রাখতাম। সারা বছর যেহেতু কেনাকাটা করতে হয় তাই সেই আনন্দ আর নেই।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫