Logo
×

Follow Us

বিনোদন

তথাকথিত নায়িকা হতে চাইনি

Icon

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০৩

তথাকথিত নায়িকা হতে চাইনি

সূচনা আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী সূচনা আজাদ। সাইফ চন্দনের ‘আব্বাস’ ছবির মাধ্যমে দর্শকের মাঝে সাড়া ফেলেন তিনি। এরপর কাজ করেছেন অঞ্জন আইচের ‘আগামীকাল’ ছবিতে। দুটো ছবিতেই প্রশংসিত হন এ অভিনেত্রী। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার একাধিক ছবি। নিজের কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক।

আপনি বড়পর্দার অভিনেত্রী। ইদানীং আপনাকে নাটকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। এর কারণ কী?

মডেলিংয়ের মাধ্যমে আমার মিডিয়ায় কাজ শুরু হয়। তখন টিভিসি ও ফটোশুটের কাজ করতাম। কাজের প্রতি খুব একটা সিরিয়াস ছিলাম না। কিন্তু সাইফ চন্দনের ‘আব্বাস’ রিলিজ হওয়ার পর মনে হলো বছরে একটা করে অন্তত সিনেমা করাই যায়। আবার সে সময় সিনেমার মার্কেট ভালো ছিল না। শুনেছি আগের শিল্পীরা ৩ শিফটে কাজ করতেন। এখন ৩ শিফটে সিনেমায় কাজ করার সুযোগও নেই। কারণ সিনেমাই তো বানানো হয় অল্প কিছু। সেজন্য শুভাকাঙ্ক্ষীরা পরামর্শ দিল নাটকে অভিনয়ের। তা হলে অভিনয়ের চর্চা থাকবে। এর মাঝে প্রোডাকশন হাউস দিলাম। কাজের সংখ্যাও বাড়তে লাগল। অর্থাৎ অভিনয় চালিয়ে যাওয়ার জন্যই নাটকে নিয়মিত হয়েছি।

কেমন চরিত্রে অভিনয় করতে চান?

আমি কখনোই তথাকথিত নায়িকা হতে চাইনি। চরিত্র ধারণ করতে চেয়েছি। ‘আব্বাস’ ছবিতে মেক ডাউনে অভিনয় করেছি। একই কথা প্রযোজ্য ‘আগামীকাল’ ছবির জন্যও। সেখানে একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রের প্রয়োজনে মেক ডাউন করতে হয়েছে। সামনে আসছে ‘নিশীথিনী’। এ ছবির চরিত্রের নাম নন্দিনী। এটি অদ্ভুত সুন্দর একটি চরিত্র। আমি যেমন চরিত্রে কাজ করতে চাই তেমন। এমন একটি চরিত্রের জন্যই বোধহয় এতদিন অপেক্ষায় ছিলাম। 

নায়ক ইমন ও নির্মাতা অঞ্জন আইচের সঙ্গে টানা কাজের কারণ কী? 

বিষয়টি পরিচালকের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করেছে। সহশিল্পী হিসেবে ইমন ভাই যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। কাজের সময় উনি চরিত্রের মাঝে ঢুকতে পারেন। তার সঙ্গে কাজ করে আরাম পেয়েছি। ইমন ভাই ও অঞ্জনদার সঙ্গে আমার দারুণ বোঝাপড়া। অঞ্জনদা কাজের যথেষ্ট জায়গা দেন। তার সঙ্গে কাজের স্বাধীনতা আছে। যা বাইরের প্রজেক্টে খুব একটা খুঁজে পাই না। তাই আমাদের তিনজনের সিঙ্ক ভালো।

‘আব্বাস’ যেমন সাড়া ফেলেছিল ‘আগামীকাল’ তেমনটি হয়নি। এ প্রসঙ্গে কী বলবেন?

‘আগামীকাল’ যারা দেখেছে তারা প্রশংসা করেছে। ফিল্মের ক্ষেত্রে ভাগ্যও থাকতে হয়। এমন অনেক ছবি হিট হয় যেগুলো বিলো অ্যাভারেজ। প্রত্যাশা মেটাতে না পারার নানাবিধ কারণের এটি একটি। আমরাও হয়তো আরও ভালোভাবে ছবিটি দর্শকের কাছে তুলে ধরতে পারতাম।


বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

কদিন আগে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেছি। সেখানে পাঁচটি নাটকের কাজ সম্পন্ন করলাম। সেগুলো শিগগির প্রচারিত হবে। ডিএ তায়েবের ওয়েব সিরিজ ‘পুলিশ স্টেশন’-এর কাজ শেষ করেছি। এখানে আমি একজন চিত্রনায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছি। শিগগির সিরিজটি কোনো একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে। 

আপনার প্রোডাকশন হাউসের কাজ কেমন চলছে? 

আমাদের প্রোডাকশন হাউসের নাম ‘পার্পেল রে’। আমার সঙ্গে পার্টনার হিসেবে আছেন নির্মাতা অঞ্জন আইচ দাদা। প্রায় ৩ বছর এ প্রোডাকশন হাউসের বয়স। হাউসের মাধ্যমে ধারাবাহিক নাটক, খণ্ড নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করছি। এখানে সময় দিতে হয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫