বাংলাদেশে একই দিনে মুক্তি পাবে রণবীরের ‘অ্যানিমেল’

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৭

আগামী ১ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেতে চলেছে রণবীর কাপুর অভিনীত সিনেমা ‘অ্যানিমেল’। ছবি: সংগৃহীত
সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত বলিউড সিনেমা ‘অ্যানিমেল’ ইতিমধ্যেই তার ডার্ক-টোনড ট্রেলারের মাধ্যমে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেতে চলেছে রণবীর কাপুর অভিনীত সিনেমাটি। পাশাপাশি, সুখবর রয়েছে বাংলাদেশী ভক্তদের জন্যও। কারণ, একই দিনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘অ্যানিমেল’।
বাংলাদেশের একটি চলচ্চিত্র আমদানি প্রতিষ্ঠান কিবরিয়া ফিল্মসের প্রধান গোলাম কিবরিয়া লিপু নিশ্চিত করেছেন যে সমস্ত আমদানি প্রক্রিয়া সফলভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে লিপু নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশে একই দিনে ছবিটি মুক্তির কথা রয়েছে। লিপু বলেন, ‘আমরা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেয়েছি। আমরা আশা করছি একই দিনে বাংলাদেশেও ছবিটি মুক্তি পাবে।’
এদিকে, ভারতের সেন্সর বোর্ডের তরফে অ্যানিম্যালকে দেওয়া হয়েছে ‘এ’ সার্টিফিকেট। সন্দীপ নিজেও একবাক্যে মেনে নেন এই সিনেমা ছোটদের দেখার উপযুক্ত নয়।
তার ভাষ্য, ‘আমার ছেলে অর্জুন, আমার ভাইয়ের ছেলেমেয়েদের এই সিনেমা দেখাব না। আমার পরিবারের ৮ মাস থেকে ১৭ বছর অবধি অনেক বাচ্চা আছে। আর এই সিনেমা তাঁদের কারও জন্যই নয়।’
সিবিএফসি-র তরফে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। যেমন কটূক্তি-পূর্ণ শব্দগুলি সিনেমা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, এমনকী তা রাখা যাবে না সাব টাইটেলেও। ববি দেওলের একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ক্লোজআপও মুছে দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। এখানেই শেষ নয়, ‘কস্টিউম’ শব্দটাও বদলে ফেলা হয়েছে। সেখানে ব্যবহার করার নির্দেশ এসেছে ‘বস্ত্র’।
অ্যানিম্যাল সিনেমাতে রণবীর কাপুরের বিপরীতে দেখা যাবে রাশ্মিকা মান্দানাকে। এছাড়াও রয়েছেন ববি দেওল, অনিল কাপুর ও তৃপ্তি দিরমি। ক্রাইম থ্রিলার ঘরনার এই ছবি বাবা-ছেলের সম্পর্কের ওঠাপড়া নিয়ে। অর্জুন নামের একটি ছেলে ছোটবেলা থেকেই পায়নি বাবার ভালোবাসা। আর সেই না পাওয়ার যন্ত্রণাই ধীরে ধীরে মানসিক বিকারগ্রস্থ রে তোলে ছেলেটিকে। অবস্থা একসময় এমন আসল যে অর্জুন খুন করতেও দ্বিধা করে না আর। ছবিজুড়ে হিংসা, রক্তারক্তি, খুনোখুনি ভরপুর। যারা ডার্ক ছবি দেখতে ভালোবাসেন, তাঁদের কাছে ইতিমধ্যেই অ্যানিম্যালের ট্রেলার লেগেছে দুর্দান্ত।
অ্যানিমেল নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রণবীর কাপুরকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে জটিল চরিত্র এটি। আপনি কাউকে মারলেন, রক্ত বেরিয়ে এল। ১০ সেকেন্ডে আপনি তা দেখে বোর হয়ে যাবেন। হিংস্রতা হচ্ছে মাথায়, কতটা একটা মানুষের মাথা নিতে পারে! কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। প্রতিপক্ষে থাকা ববি স্যার নাকি আমি। এই সিনেমাটা দেখার পর সমাজ, দর্শক এই প্রশ্নই করবে।’