রুনা খান।
অভিনেত্রী রুনা খান। গেল কয়েক বছর তাকে বেছে বেছে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। বছরে একটি ওয়েব ফিল্ম বা ওয়েব সিরিজ করেই পূরণ করছেন অভিনয়ের কোটা। সে তুলনায় চলতি বছর রুনার কাজের সংখ্যা বেশি। বর্তমান কাজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, চারটি কাজ করেছি। শাহরিয়ার নাজিম জয়ের ‘শোধ’, কাজল আরেফিন অমির ‘অসময়’, মাসুদ পথিকের ‘বক’ ও কৌশিক শঙ্কর দাসের ‘দাফন’। এর মধ্যে দুটো ফিল্ম এবং দুটো ওয়েব ফিল্ম। চারটি সিনেমার চরিত্র আলাদা। সে বিষয়ে এক্ষুনি বিস্তারিত বলতে নারাজ অভিনেত্রী। নিজের সীমা মাথায় রেখে জানালেন, ‘দাফন’ ছবিতে আমার চরিত্রের নাম কুলসুম। এই চরিত্রের মানুষটি নির্মাতার পরিচিত একজন। করোনাকালে ২০২১ সালে কাজটি নিয়ে আলাপ হয়েছিল। গেল বছর শুটিং করেছি। গল্পটি শুনেই ভালো লেগেছিল। অন্যদিকে ‘বক’- প্রকৃতি ও জীবনের গল্প। মানব জীবন ও প্রকৃতি একে অপরের পরিপূরক। একজন বক শিকারির পরিবারের গল্পের মধ্য দিয়ে যা তুলে ধরা হয়েছে। এখানে আমার চরিত্রের নাম ‘সবিতা’।
একটা সময় নিয়মিত নাটকে কাজ করতেন রুনা। গেল কয়েক বছর ধরে তাকে নাটকে খুব কম দেখা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নাটক-ওটিটি-ফিল্ম আলাদা করে দেখি না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমার কাজ অভিনয় করা। পছন্দসই কাজ হলে অবশ্যই করব। গড়পড়তা নাটকের কাজে এই মুহূর্তে যুক্ত হতে চাই না। রুনার কাছে জানতে চাওয়া হয় তার অভিনয়ের দর্শন প্রসঙ্গে। তিনি বললেন, আমি সংখ্যায় বিশ্বাসী নই। বছরে মানসম্পন্ন এক বা দুটি কাজে বিশ্বাস করি। যে জীবন যাপন করতে চাই, তা করতে পারাই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যোগ করেন, একটি মাসকে যদি ছয় ভাগে ভাগ করি, তার পাঁচ ভাগ পরিবারের জন্য বরাদ্দ। বাকি এক ভাগ কাজের জন্য। এ বছর চারটি কাজ ও কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্র মিলে ৭০ দিনের মতো কাজ করেছি। ২০১৫ থেকে ২০২৩ এই সময়ের মধ্যে চলতি বছরই অভিনয়ে বেশি সময় দিয়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রুনার কোনো ফটোশুটের ছবি প্রকাশ পেলে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। মন্তব্যের ঘরে দেখা যায় নেটাগরিকদের বিভিন্ন বক্তব্য। এ প্রসঙ্গে রুনার ভাষ্য, দুই রকমের ফটোশুট হয়। একটি ব্র্যান্ডের জন্য, অন্যটি পত্রিকার জন্য। ফটোশুটও অভিনয়ের মতো কাজ। কোনোটা কারও ভালো লাগবে, কারও পছন্দ হবে না। দুটো বিষয়কেই আমি সমানভাবে গ্রহণ করি।
সবশেষে আসছে বছরের ভাবনা সম্পর্কে রুনা জানান, ‘জীবনে পরিকল্পনা করে কিছু করতে পারিনি। আমি মন দিয়ে চলা মানুষ। মন যা চায় তা-ই করে আসছি। তবে যদি ভালো কাজের সুযোগ আসে তা মন দিয়ে করতে চাই। অভিনয়ে ভালো কাজ করতে চাই।’
রুনা স্বপ্নের কথা জানিয়ে বললেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি প্রতিটি মেয়ে স্বনির্ভর হবে। তাহলে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারবে। আত্মবিশ্বাসী হয়ে বাঁচার জন্য স্বনির্ভর হওয়া জরুরি।’