
মার্কিন কিংবদন্তি গায়ক, গীতিকার ও সুরকার জন ডেনভার। ছবি: সংগৃহীত
মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে, বছরের এই শেষ দিনটাই এক কিংবদন্তি গায়ক, গীতিকার ও সুরকারের জন্মদিনও বটে। তার গিটারের সুর সেই কত বছর আগে দেশ, মহাদেশের সীমানা ভেঙে দিয়েছিল। কত কত ভাষায় তার গান নিজেদের মতো অনুবাদ করে গাওয়া হয়েছিল। আজ প্লে লিস্টে তার গান থাকবে না?
বছরের এই শেষ দিনে এক কিংবদন্তি গায়ক, গীতিকার ও সুরকারের জন্মদিনও বটে। তার গিটারের সুর সেই কত বছর আগে দেশ, মহাদেশের সীমানা পেরিয়ে কত কত ভাষায় তার গান নিজেদের মতো অনুবাদ করে গাওয়া হয়েছিল তার ইয়ত্তা নেই।
বলছিলাম মার্কিন গায়ক, গিটারিস্ট ও সঙ্গীত পরিচালক জন ডেনভারের কথা। একইসঙ্গে তিনি অভিনেতা এবং পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবেও বিশ্বে রেখেছেন নানা অবদান। নিজের কাজের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম 'কালচারাল আইকন' হিসেবে পরিচিত এই মানুষটি। যার হাত ধরেই উঠে এসেছে মার্কিন অ্যাকুয়াস্টিক ফোক মিউজিক। বলা হয়ে থাকে, এই জঁরের অন্যতম ধারক ও বাহক জন ডেনভার।
১৯৪৩ সালে ৩১ ডিসেম্বর যখন গোটা বিশ্ব নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায়, সেইসময় আমেরিকার নিউ মেক্সিকোর রোসওয়েল শহরে জন্ম ডেনভারের। সেখানেই বেড়ে ওঠা। বরাবর নিজেকে একজন ‘কান্ট্রি বয়’ হিসাবে পরিচয় দিতে ভালবাসতেন। পরে যখন গান বাঁধতে শুরু করলেন নিজের সেই পরিচয়কে গানের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন শ্রোতাদের কাছে।
ডেনভারের অধিকাংশ জনপ্রিয় গানের শিরোনামও এই ‘কান্ট্রি’ বিষয়টিকে ঘিরেই। ‘টেক মি হোম, কান্ট্রি রোডস’, ‘পোয়েমস, প্রেয়ারস অ্যান্ড প্রমিসেস’, ‘রকি মাউন্টেন’, ‘ক্যালিপসো’, ‘থ্যাঙ্ক গড আই অ্যাম আ কান্ট্রি বয়’—উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না। সাত এবং আটের দশকে তার গানের কথায়-সুরে মুগ্ধ হননি, এমন গান-পাগল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল। যে কোনও বড় পার্টিতে কিংবা পাবে অনুরোধের আসরে প্রায়ই শোনা যেত তার গান।
তবে দিন বদলেছে, শতাব্দী বদলেছে। নতুন জেনারেশনের পছন্দেও এসেছে একটা আমূল পরিবর্তন। হয়ত আজকের এই দিনে বার্থডে বয় জন ডেনভারের গান কোথাও জায়গা পাবে না! বাড়িতে হোক বা বন্ধুদের আড্ডায়, কোনও কিশোর কি গিটার হাতে গান ধরবে না, ‘কান্ট্রি রোডস টেক মি হোম!’
সূত্র: দ্যা ওয়াল