Logo
×

Follow Us

বিনোদন

গানে গানে কনকচাঁপার ৪০

Icon

এন ইসলাম

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৯

গানে গানে কনকচাঁপার ৪০

রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ফাইল ছবি

‘বাজারে যাচাই করে দেখিনি তো দাম’, ‘তুমি আমার এমনই একজন’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘অনেক সাধনার পরে আমি’, ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে’সহ এমন অংসখ্য জনপ্রিয় গানের কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। দেশের গানের আকাশের জ্বলজ্বলে তারা তিনি। বাংলা সিনেমার গানে তিনি একটা অধ্যায়ের নাম। 

এ কণ্ঠশিল্পী চলচ্চিত্রে প্রথম গেয়েছিলাম আলাউদ্দিন আলীর সুরে ‘বিধাতা’ সিনেমার ‘আপন কভু পর হয় না রে’ গানটি। এটি লিখেছিলেন নজরুল ইসলাম। তিনি পরিচালক, প্রযোজক ছিলেন। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৮৪ সালের প্রথম দিকেই। তবে কনকচাঁপার আনুষ্ঠানিক গানের যাত্রা শুরু হয় বিটিভি থেকে। ১৯৮৪ সালের ৮ জানুয়ারি বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘অন্তরঙ্গ’তে মইনুল ইসলাম খানের সুরে ‘এলোমেলো চুল আর ললাটের ভাঁজ’ গানটি করেন তিনি। এরপর বদলে গেল তার চারপাশ। 

বিটিভির সেই গানের স্মৃতিচারণ করেন শিল্পী এভাবে, “১৯৭৭ সালে নতুন কুঁড়িতে থাকার সময় মইনুল ইসলাম খানের সঙ্গে পরিচয়। নতুন কুঁড়ির দলীয় সংগীতের মিউজিক ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। কয়েক বছর পর তিনিই আমাকে বিটিভিতে বড়দের গান করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমি বিটিভির তালিকাভুক্ত ছিলাম না। তিনি আমার জন্য স্পেশাল অনুমতি নিয়ে নেন। ‘এলোমেলো চুল আর ললাটের ভাঁজ’ গান প্রচার হওয়ার পর আমাকে বিটিভি তালিকাভুক্ত করে নেয়।” 

এরই মধ্যে গানে গানে পার করলেন চার দশক এ কণ্ঠশ্রমিক। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘এ সময়ে এসে আমার প্রাপ্তির ঝুলি দীর্ঘ হয়েছে। গানের যত শাখা আছে, একদম ছোটবেলায় সব স্বর্ণপদক পেয়েছি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি তিনবার। আমার জীবনে যেটা উপলব্ধি হলো ২০১০ সাল পর্যন্ত ক্যারিয়ারের ২০ বছর হিট প্রাইম টাইম পার করেছি, অনেক গেয়েছি। সব সময় বলি আমি একজন শ্রমিক, কণ্ঠশ্রমিক। শ্রমিকের মতোই কাজ করেছি। এ ৪০ বছরে এমন কেউ বলতে পারবে না, আমাকে ডেকেছে আর সময়মতো পায়নি। সেটা হয়নি কোনোদিন। মানুষের ভালোবাসার কাছে আমার প্রাপ্তি সীমাহীন।’ 

শিল্পীর এ পথচলার জন্য সব কৃতিত্ব দেন স্বামী ও সংগীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খানকে। কনকচাঁপার শিল্পীজীবন আর সংসারজীবন চলেছে হাতে হাত ধরে। ৮৪ সালের জানুয়ারিতে গান গাওয়া শুরু, আর ডিসেম্বরেই বিয়ে হয় তাদের। স্বামীর জন্য এক বাক্যে বললেন, “আমার স্বামী তার জীবনটা উৎসর্গ করেছে আমাকে শিল্পী হিসেবে গড়তে। তার সুরে দুই থেকে আড়াইশ গান প্রকাশ হয়েছে। তার যত সুর প্রায় সব গানই আমি গেয়েছি। পাঁচ-ছয়টি ক্যাসেটও ছিল। ‘আমি নই বনলতা সেন’, ‘নীলাঞ্জনা নামে ডেকো না’, ‘এলোমেলো চুল আর ললাটের ভাঁজ, ‘রক্ত রাঙা সন্ধ্যা রবি’, ‘পড়ল ঝরে কৃষ্ণচূড়া’, ‘কথা দাও সেই কথা’, ‘যে দেশেতে শহীদ মিনার’, ‘ওই পতাকা আমার মায়ের মুখের মতো’, ‘ওই শ্যামল কোমল মাটির পরশ’, ‘আমার একটা ছোট্ট বাড়ি পাশে পদ্মপুকুর’ প্রভৃতি গান।”

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫