ভালোবাসা দিবসের একদিন পর জানা গেছে, আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ভালোবাসার তৃতীয় সংসারেও দেখা দিয়েছে ফাটল। বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন এই নায়িকা। মতপার্থক্যের কারণে উভয়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মাহি নিজেই জানিয়েছেন। বেশকিছু দিন ধরে স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে আলাদা থাকছেন তিনি।

সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে রাত-দিন একসঙ্গে থাকলেও, নির্বাচনে হেরে ঘরে ফিরে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুকে এক ভিডিওতে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসতেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু মাহি। সবার মনে একই প্রশ্ন হঠাৎ করে কি হয়েছে মাহির? কারণ, মাহি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রকিবের সঙ্গে থাকার কথা জানিয়েছিলেন বিয়ের পর। তবে তিন বছরের মাথায় তাদের সংসারে ভাঙনের সুর শোনা গেল।

এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে মাহির সাড়া পাওয়া যায়নি। বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েই মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি। যার ফলে নানান ধরনের চর্চায় মাহি।

২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী রকিব সরকারকে বিয়ে করেছেন মাহি। এই দম্পতি ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেন। নাম ফারিশ। এটি রাকিবের দ্বিতীয় বিয়ে হলেও মাহির তৃতীয়।

২০১৬ সালের ২৫ মে জমকালো আয়োজনে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন মাহি। ২০২১ সালের ২৪ মে তাদের পঞ্চম বিবাহবার্ষিকীর আগমুহূর্তে মাহি জানান, একসঙ্গে আর তারা থাকছেন না। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে। তার পরই তৃতীয় বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেন এই অভিনেত্রী।

তারও আগে, ২০১৫ সালের ১৫ মে কাজী মো. সালাউদ্দিন ম্যারেজ রেজিস্টারের মাধ্যমে শাওন নামের একজনকে বিয়ে করেন মাহি। ২০১৬ সালে অপুকে বিয়ের পর শাওনের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সেসময় শাওনের সঙ্গে মাহির ছবিও ফাঁস হয়। যা সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়। তখন মাহি সাইবার ক্রাইমে মামলা করেন। তবে সেই মামলার প্রতিবেদনে শাওনের সঙ্গে মাহির বিয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়।