
উপস্থাপিকা মাহমুদা মাহা। ছবি: সংগৃহীত
এ সময়ের ব্যস্ত উপস্থাপিকা মাহমুদা মাহা। বিভিন্ন চ্যানেলে রকমারি অনুষ্ঠান সঞ্চালনার ভার সামলান তিনি। উপস্থাপনা ছাড়া অভিনয়ও করেন এ গ্ল্যামারকন্যা। সরকারি অনুদানের ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ও ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। গেল ঈদের নাটকেও দেখা গেছে তাকে। নিজের কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক।
উপস্থাপনার বাইরে ঈদের নাটকে অভিনয় করেছেন। কাজের অভিজ্ঞতা ও দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
বিটিভিতে ঈদে অনিমেষ আইচের পরিচালনায় ‘যৌবন’ নাটকে অভিনয় করেছি। দর্শক ভালো বলছে। আমার অভিজ্ঞতাও ভালো ছিল। শুটিংয়ের সময় টেনশন কাজ করেছে। অনেক জায়গায় নির্মাতা ধরিয়ে দিয়েছেন। যারা নিয়মিত অভিনয় করেন তাদের কাজে একটা ফ্লো থাকে। আমার জন্য অভিনয় একটু হলেও ব্যতিক্রম। চরিত্রটি ছিল এ সময়ের। নিজেকে ভাঙতে হয়নি। মঞ্চের অভিনয়শিল্পীরা কাজ করেছেন। সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছি। তারা অনেক বিনয়ী। সাবেরী আলম আপার সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দেওয়া যায়।
অভিনয়ে নিয়মিত হবেন?
আমার ইচ্ছে আছে। কিছু খণ্ড নাটকের বিষয়ে আলাপ হয়েছে। শিগগির শুটিং শুরু হবে। সিনেমার বিষয়েও কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে। আসলে কাজ করতে আপত্তি নেই। উপস্থাপনা করি বলে নির্মাতারা ভাবতে পারেন আমি সময় দিতে পারব না। ব্যাপারটি তা নয়। অনিমেষ আইচ যেমন হুট করে আমাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন। এমন করে যদি কেউ ভাবে, কাজটি করতে যদি মন চায় তাহলে কাজ করব। তা ছাড়া ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’ সিনেমার প্রিমিয়ারে উপস্থিত দর্শকবৃন্দ অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। যাদের মধ্যে চলচ্চিত্র ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক প্রমুখ রয়েছেন।
উপস্থাপনা থেকে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জ কী কী?
উপস্থাপনা থেকে অভিনয়ে আসার চ্যালেঞ্জ আছে। আমি প্রায় ৭ বছর উপস্থাপনা করছি। একই স্কেলে কথা বলছি। অভিনয় করতে গিয়ে টের পেলাম চরিত্রানুযায়ী স্কেল বদলাতে হচ্ছে। আমি কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুতে নাটকে অভিনয় করেছি। থিয়েটারে কাজ করেছি। আবার উপস্থাপনার সময় ক্যামেরার সামনেও অভিনয় করি। অতিথিকে ইতিবাচকভাবে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করতে হয়। অনেক দায়িত্ব নিয়ে সঞ্চালনার কাজ করতে হয়। উপস্থাপনা স্বল্প সময়ের জন্য। কিন্তু অভিনয় করলে আজীবন দর্শকের সামনে থাকা সম্ভব।
অভিনয় নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি প্রসঙ্গে জানতে চাচ্ছি।
আমি ইতোমধ্যে দুটো সিনেমায় অভিনয় করেছি। চাইলে আরও সিনেমায় কাজ করতে পারতাম। নিয়মিত প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু আমি ভেবেচিন্তে পা ফেলছি। সহশিল্পী, গল্প, শুটিং পরিকল্পনা ইত্যাদি জেনে নিচ্ছি। আমার মনে হয়, যারা প্রতিষ্ঠিত শিল্পী তাদের হুটহাট কাজ করা উচিত নয়। বড়পর্দায় সবাই কাজ করতে চায়। তা করতে গিয়ে এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে পরবর্তীকালে আফসোস করা লাগে, কেন এমন কাজ করলাম।
অন্যান্য কাজের ব্যস্ততা কেমন?
এর মধ্যে টিভিসি-ওভিসির কাজ করেছি। ঈদে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মিউজিক্যাল লাইভ করেছি চাঁদ রাতে। অন্যান্য চ্যানেলেও বিশেষ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি। ব্র্যান্ডের প্রমোশনাল শুট করেছি। এটিএন বাংলায় নতুন শো শুরু করেছি-কুইজ ম্যানিয়া। ভালো ভিউ হচ্ছে। কর্পোরেট শো শুরু হয়েছে ঈদের পর। এ ছাড়া অন্যান্য চ্যানেলে নিয়মিত অনুষ্ঠানগুলো চলছে।