
এমিলি ব্ল্যান্ট। ছবি: সংগৃহীত
এ সময়ের হলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে সমীহ জাগানিয়া এক নাম এমিলি ব্ল্যান্ট। ২০০৪ সালে বড়পর্দায় ‘মাই সামার অব লাভ’ দিয়ে অভিষেক হয় তার। ছবিটিতে তার অভিনয় প্রশংসিতও হয়। তবে অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ধাপে।
এ সময়ে এমিলি দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডার মতো আলোচিত সিনেমা করেন, বিবিসির টিভি সিনেমা গিডিয়ন্স ডটারের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পান। পরে দেখা যায় লুপার, আর্থার নিউম্যান ইত্যাদি সিনেমায়। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া এজ অব টুমোরো দিয়ে বিশ্বব্যাপী তার পরিচিতি আরও ছড়িয়ে পড়ে। অ্যাকশন সিনেমাটিতে স্টান্ট করে রীতিমতো চমকে দেন তিনি।
ভ্যারাইটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ চরিত্র নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘তিন মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। যোগব্যায়াম, জিমন্যাস্টিক থেকে শুরু করে সবই করতে হয়েছে।’
২০১৫ সালের পর থেকে অন্য এমিলির দেখা পান দর্শক-সমালোচকরা। তাকে দেখা যায় সিকারিও, দ্য গার্ল অব দ্য ট্রেন, আ কোয়াইট প্লেস, ম্যারি পপকিনস রিটার্নস ইত্যাদি সিনেমায়।
গত বছর এমিলি আবার আলোচনায় আসেন ক্রিস্টোফার নোলানের ওপেনহেইমারে অভিনয় করে। ছবিটির জন্য অস্কারে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর মনোনয়নও পেয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ তাকে ‘দ্য ফল গাই’ ছবিতে দেখা গেছে। এতে এমিলির সহঅভিনেতা রায়ান গসলিং। অনেক প্রত্যাশা থাকলেও সিনেমাটি বক্স অফিসে সেভাবে ব্যবসা করতে পারছে না।
সিনেমাটি মুক্তির আগে ভ্যারাইটিকে এমিলি বলেন, ডেভিড লিচের পরিচালনায় রায়ান গসলিংয়ের সঙ্গে কাজ করা ছিল তার জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা। এদিকে গত কয়েক বছরে নানা সময়েই অভিনয় থেকে বিরতির কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী, যা শুনে তার ভক্ত-অনুসারীদের আশঙ্কা, অভিনয়টা না ছেড়েই দেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে এমিলি বলেন, ‘বিরতির কথা বলেছি কথা প্রসঙ্গে। অভিনয় ছেড়ে দেব ব্যাপাটা এমন নয়। কাজটা আমি ভালোবাসি। কয়েক বছর ধরে এত ব্যস্ত সময় পার করেছি যে বিরতিটা আমার পাওনা।’