Logo
×

Follow Us

বিনোদন

আমাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ প্রভাবিত হয়: তাসনুভা মোহনা

Icon

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ২২:৩৮

আমাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ প্রভাবিত হয়: তাসনুভা মোহনা

তাসনুভা মোহনা। ছবি: সংগৃহীত

চলতি সময়ের ব্যস্ত উপস্থাপিকা তাসনুভা মোহনা। দেশের বিভিন্ন চ্যানেলে তার সঞ্চালনায় চলছে একাধিক অনুষ্ঠান। প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি কর্পোরেট শো উপস্থাপনা করে। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এ গ্ল্যামারকন্যা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক। 

কয়েক বছর সফলতার সঙ্গে উপস্থাপনা করছেন। আপনার চোখে ভালো উপস্থাপনার মূলমন্ত্র কী?

যে কোনো কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করার পেছনে অনেক কিছু কাজ করে। প্রত্যেকের নিজস্ব একটি বৈশিষ্ট্য আছে। কাকে কোন পোশাকে ভালো দেখাবে সেটি সে ছাড়া ভালো কেউ বুঝবে না। উপস্থাপনা মানে নিজেকে উপস্থাপন করা। সেখানে ভালোভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ। আবার কোনো প্রোগ্রামে উপস্থাপনা করতে গেলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এজন্য পড়াশোনা করে গেলে কাজটি সহজ হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেছিলাম। পরে বিটিভি থেকে কল দিয়ে কাজটির প্রশংসা করেছে। আমি এ অনুষ্ঠানের জন্য গুগল থেকে বিভিন্ন প্রতিবেদন পড়েছি, ভিডিও দেখেছি। নিজেকে প্রস্তুত করে গিয়েছি। আবার গানের অনুষ্ঠানে গানের কথা দিয়ে স্ক্রিপ্ট বানিয়েছি। মানুষ তথ্য নয় গল্প শুনতে চায়। যদি গল্পের মতো করে উপস্থাপনা করা হয় তবে মানুষ চ্যানেল পাল্টায় না। আমি চাই আমার উপস্থাপনা মানুষ দেখুক। যেন আমার কথা শুনতে তাদের ভালো লাগে।

এ সময়ে উপস্থাপকদের সমালোচিত হতে হচ্ছে বিতর্কিত প্রশ্নের জন্য। এ প্রসঙ্গে আপনার ভাষ্য কী?

আমাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ প্রভাবিত হয়। কথা বলতে গেলে সে জন্য গুছিয়ে বলা প্রয়োজন। স্টেজে পারফর্ম করতে গেলেও বুঝে করা উচিত। উপস্থাপকদের প্রতি এটি আমার আহ্বান। একটু যোগ করি, নাট্যকার সংঘের অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধেয় আবুল হায়াত ছিলেন। তিনি আমার উপস্থাপনা দেখে বলেছিলেন, আমরা প্রমিত বাংলায় পড়াশোনা করেছি। যা শিখেছিলাম আজ তার উপযুক্ত প্রয়োগ দেখছি।

আপনাকে গড্ডলিকাপ্রবাহে গা ভাসাতে দেখা যায় না। কেন?

আমি যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় কম আসি, তখন নিজেকে আরও সক্ষম করে তুলি। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর লেখা বই পড়ি, সিনেমা দেখি। আমি কাহিনীকের জন্য অডিও বুকে কণ্ঠ দিই। তখন অন্য কাজ সাধারণত রাখি না। কিন্তু এ কাজ না করে অনায়াসে একাধিক শো উপস্থাপনা করা যায়। আমি তা করি না। কাহিনীককে গুরুত্ব দিই। কারণ সেখানে বই পড়ার সুব্যবস্থা আছে। আমি বই পড়ি যাতে শিখতে পারি। আমি অর্জনগুলো অন্য দৃষ্টিতে দেখি। যখন শুনি একজন প্রতিষ্ঠিত উপস্থাপক তার পরিবর্তে আমাকে উপস্থাপক হিসেবে নিতে বলেন তখন মনে হয় ঠিক পথে আছি। আসলে ভালো-মন্দ, পাপ-পুণ্য আপেক্ষিক। যে যেভাবে নিজেকে মূল্যায়ন করতে চায় সেটি তার সিদ্ধান্ত। অবশ্য খেয়াল করলে দেখবেন, ভালো মানুষ গড্ডলিকাপ্রবাহে নেই।

উপস্থাপনা থেকে অভিনয়ে এসেছেন অনেকেই। আপনাকে কবে দেখা যাবে?

আমার কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে। কল করে অনেকেই জানতে চায় চরিত্র নাকি গল্প, কোনটিকে প্রাধান্য দিলে কাজ করব। গল্প যদি পছন্দ হয় তাহলে কাজ করব জানিয়ে দিই। তেমন ভালো কাজের প্রস্তাব পেলে অভিনয় করব।

আপনি লেখালেখিও করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছি।

আমার একটি কবিতার বই প্রকাশ হয়েছিল। কাব্যগ্রন্থটির নাম ‘উপুড় করা দুপুর’। ইতোমধ্যে প্রথম মুদ্রণ শেষ। পরবর্তী মুদ্রণ আসবে কিনা জানি না। আগামী বইমেলার জন্য কবিতার পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত। এই বইয়ের পাশাপাশি ছোটগল্পের একটি সংকলন প্রকাশের ইচ্ছাও আছে। কিছুদিন আগে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির প্রিয়মুখ বিবি রাসেল আমার কাব্যগ্রন্থ পড়ে লেখার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছিলেন, আমি ভালো লিখি, ভালো উপস্থাপনাও করি।

অন্যান্য ব্যস্ততা কী নিয়ে?

চ্যানেল ২৪, নাগরিক টিভি, বৈশাখী টেলিভিশন, এটিএন বাংলা ও মাইটিভিতে নিয়মিত শো করছি। পাশাপাশি কর্পোরেট শোর ব্যস্ততা আছে। সম্প্রতি দুটো বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ করেছি। প্রাণ সরিষার তেল ও এইচএসবিসি ব্যাংকের। দুটোই প্রচার হচ্ছে। ভালো সাড়া পেয়েছি কাজ দুটোর জন্য।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫