
আদালতে আত্মসমর্পণে করেন প্রিন্স মামুন। ছবি: সংগৃহীত
লায়লা আখতার ফরহাদের রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণে করে হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন মামুন। আদালত শুনানি শেষে মুচলেকা নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেন তার।
বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মামুনের আইনজীবী মাজেদুর রহমান (সোহাগ)।
এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনকে আসামি করে মারধর ও হত্যাচেষ্টার একটি মামলা দায়ের করেন লায়লা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, তিন বছর আগে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় লায়লার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। ওই সময় থেকেই প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারার ডিওএইচএসের বাসায় থাকা শুরু করেন।
এরপর প্রিন্স মামুন বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায় সময়ই মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় প্রবেশ করতেন। বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন তিনি। এমনকি মাঝে মধ্যেই তাকে মারধর করতেন মামুন।
গত ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরেন তারা। তখন মামুনসহ আরও দুইজন মদপানের জন্য মিরপুর যাওয়ার পরামর্শ করেন। তাদের মদপানে লায়লা নিষেধ করলে উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে প্রিন্স মামুন। আর গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে লায়লাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা করে প্রিন্স মামুন।
সম্প্রতি এ ব্যাপারে মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। সোমবার (৩ জুন) পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেন। আর তখন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।