
অভিনেত্রী আইশা খান। ছবি: সংগৃহীত
এ সময়ের অভিনেত্রী আইশা খান। উপস্থাপনা ও অভিনয় দুটিই করছেন সমানতালে। সম্প্রতি আইশা যুক্ত হয়েছেন নতুন দুটো সিনেমায়। এর আগে অন্তু আজাদের ‘আহত ফুলের গল্প’ সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় তার অভিষেক ঘটে। সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক।
নতুন দুই সিনেমা ‘শেকড়’ ও ‘সংবাদ’ নিয়ে জানতে চাই...
প্রসূন রহমানের ‘শেকড়’ সিনেমার অধিকাংশ কাজ শেষ। পরিকল্পনামাফিক কাজ হয়েছে। এ সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম ফাল্গুনি। ধ্রুপদী সংগীত শিল্পী। আমার বিপরীতে আকাশ চরিত্রে আছেন অভিনেতা নাঈম। অন্যদিকে সোহেল আরমানের ‘সংবাদ’ সিনেমার কাজ জুন মাস জুড়ে চলবে। মহরতে যেভাবে বলা হয়েছিল, ১ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত প্রথম লট এবং ২১ থেকে ৩০ জুন দ্বিতীয় লটের কাজ চলবে। এখানে রোমান্স ও থ্রিল প্রাধান্য পাবে। এটি একটি মিক্সড জনরার সিনেমা।
আসছে ঈদে নাটকের ব্যস্ততা কেমন?
আমি নাটক না করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু ভালোবাসা দিবস ও রোজার ঈদের নাটকে ভালো সাড়া পেয়েছি। নাটকগুলো দর্শকপ্রিয় হয়েছে। তাই ব্যস্ততা থাকলেও সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে। কোরবানির ঈদের জন্য পাঁচটি নাটকের কাজ করছি।
ছোটপর্দা, ওটিটি ও সিনেমা-তিন মাধ্যমে কাজের অভিজ্ঞতা হলো।
কোনটি কেমন লাগে?
সব মাধ্যমেই স্বাচ্ছন্দ্য লাগে। সময়ের পার্থক্য উল্লেখযোগ্য। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজের জন্য ভালো সময় পাওয়া যায়। স্ক্রিপ্ট মাসখানেক আগে হাতে আসে। সিনেমার ক্ষেত্রেও একই কথা। প্রস্তুতির জন্য দেড় মাস সময় পেয়েছি। আমার মতে নাটকের শুটিংয়ের জন্য ৪-৫ দিন সময় নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। যারা সময় নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে। ইদানীং কেউ কেউ সময় নিয়ে কাজ করছেন। গল্পে বৈচিত্র্য আসছে। দর্শক আমাদের ক্যামেরার সামনে দেখে। কিন্তু যারা পর্দার পেছনে কাজ করেন তারা বিশ্রাম কম পান। সময় নিয়ে কাজ করলে তারা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেতেন, কাজটাও আনন্দ নিয়ে করতে পারতেন। আরও ভালোভাবে কারতে পারতেন।
যে কাজগুলো করছেন সেগুলোয় সময় মিলেছে?
দুটোই। কোনোটা তাড়াহুড়ো করে করেছি, কোনোটা সময় নিয়ে। মে মাসের শেষের কাজগুলোয় তাড়াহুড়ো হচ্ছে। আগের কাজগুলো সময় নিয়ে করতে পেরেছি। আমার জন্য ১৬ ঘণ্টা কাজ করা কঠিন। দিন যদি ৪৮ ঘণ্টা হতো তাহলে আরামসে কাজ করতে পারতাম।
আপনি উপস্থাপনা করতেন। এখন বোধহয় কমিয়ে দিয়েছেন?
ইভেন্টের উপস্থাপনা করছি। সেখানে ব্যক্তি আইশা হয়ে থাকতে পারি। উপস্থাপনা আমার জন্য রিফ্রেশমেন্টের মতো। টেলিভিশনে রিয়েলিটি শো বা টক শো হলে যুক্ত হব। এখন নিয়মিত শো করা কঠিন।
কদিন বাদে কোরবানির ঈদ। ঈদ নিয়ে কী পরিকল্পনা?
আমি কোরবানির ঈদে বাসায় থাকি। কোরবানির সময় অস্বস্তি লাগে। যখন পশুদের রক্ত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে ফেলা হয় তখন বের হই। এবারও এভাবে কাটবে।