
মারিয়া নূর। ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রিয় উপস্থাপিকা ও মডেল মারিয়া নূর। টি২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম টফিতে সঞ্চালনা করেছেন ক্রিকেট শো। এক সময় নিয়মিত উপস্থাপনা করলেও এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। মে মাসে দেশে এসেছেন। শুরু করেছেন ক্রিকেট শো সঞ্চালনা। এ বিষয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন এ গ্ল্যামারকন্যা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক।
অনেক দিন পর ফের ক্রিকেট শো সঞ্চালনা করছেন। কেমন লাগছে?
অবশ্যই ভালো লাগছে। ওয়ার্ল্ড কাপের মতো একটি টুর্নামেন্টের শো। অনেক দিনের নিজের গোছানো জায়গা। ফিরে এসে উপস্থাপনা উপভোগ করছি।
কোনো পরিবর্তন চোখে পড়েছে?
অ্যানালাইসিস আগের মতো আছে। এবার নতুন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছি। টফির আয়োজনটি করছে পপআপ। তানভীর খান নির্দেশনা দিচ্ছেন। তার অভিজ্ঞতা অনেক। যারা অ্যানালাইসিস করছেন তারাও অভিজ্ঞ। এই টিম আরও গোছানো।
উপস্থাপনা মিস করেন?
হ্যাঁ, মিস করি। অনেক দিনের গড়ে তোলা পরিচয়। আমাদের জীবনের একেক অধ্যায়ে একেকটি প্রায়োরিটি থাকে। সন্তান এলে তার সঙ্গে অন্য কিছু মেলানো যায় না। এখন তার প্রায়োরিটি বেশি অন্য সবকিছুর চেয়ে।
বর্তমান সময়ের উপস্থাপনা নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
কয়েকজন ভালো পুরুষ উপস্থাপক উঠে এসেছেন। কয়েকজন নারী উপস্থাপকও এসেছেন। তারা ভালো করছেন। তবে ইদানীং একটি বিষয়ের প্রচলন বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার জন্য অতিথিকে বিব্রতকর প্রশ্ন করা হয়। পাশের দেশেও তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন জানতে নানারকম প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তাকে অসম্মান করার জন্য প্রশ্ন করা হয় না। এই ট্রেন্ড যদি চলতে থাকে তাহলে আগামীতে আরও খারাপ সময় দেখতে হবে।
এ সময়ের ক্রিকেট শো সঞ্চালনা কেমন দেখছেন?
যারা ক্রিকেট শো সঞ্চালনা করছে তারা ভালো করছে। রিসার্চ করে বসছে কেউ কেউ। খুবই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে শো করতে বসছে। তারা টু দ্য পয়েন্ট কথা বলছে। তাদের মাঝে ভালো করার চেষ্টা আছে। আবার কেউ কেউ স্ক্রিনে থাকাটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। আমার মনে হয়, এভাবে করার চেয়ে না করাই ভালো।
শুনেছি আগস্ট পর্যন্ত দেশে আছেন। অন্য আর কী কাজ করবেন এ সময়ে?
নতুন কোনো শোর বিষয়ে কথা হয়নি। মডেলিংয়ের বিষয়ে আলাপ হয়েছে। কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার কথা হয়েছে। সেগুলোর কাজ করব শিগগির।
আর অভিনয়?
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ করার পর অভিনয়ের অনেক প্রস্তাব পেয়েছিলাম। অভিনয়ের সুযোগও ছিল। ঐ যে বললাম একেক সময়ে জীবনের প্রায়োরিটি বদলে যায়। এ ছাড়া ওটিটিতে কাজ করতে গেলে কয়েক মাসের প্রস্তুতি নিতে হয়। আমি তো সে সময় নিয়ে আসিনি। তা ছাড়া দেশে ফিরেছি এ কথা কয়েকজনকে জানিয়েছি দেরিতে। হুট করেই টফির শো করছি।
দেশের অনুষ্ঠান দেখা হয়?
অবশ্যই দেখা হয়। দেশের বাইরে থাকি বলেই হয়তো। এখন ওটিটির কারণে ভালো কাজ হচ্ছে। নতুন ধারার কাজ আসছে। সেট ডিজাইন হতে শুরু করে গল্পের বুননে নতুনত্ব আছে। কাজগুলো সুযোগ পেলে দেখি।
বাইরে সময় কীভাবে কাটে?
যুক্তরাষ্ট্রে রুটিন লাইফ কাটে। ওখানে সময়ের সদ্ব্যবহার ঠিকভাবে করা যায়। ছেলেকে নিয়ে প্রতিদিন প্লে গ্রাউন্ডে যাই। পরিবার নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘুরতে যাই। সময়টুকু পরিবারের সঙ্গে একান্তে কাটানোর সুযোগ মেলে।