
সাদিয়া আফরিন মাহি। ছবি: সংগৃহীত
এ সময়ের অভিনেত্রী সাদিয়া আফরিন মাহি। গেল ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় রাশিদ পলাশ পরিচালিত তার অভিনীত সিনেমা ‘ময়ূরাক্ষী’। এ ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এর আগে একই নির্মাতার ‘পদ্মপুরাণ’ ছবিতে তাকে দেখা যায়। চরিত্রের প্রয়োজনে মাথার চুল ফেলে দিয়ে চরিত্রের প্রতি নিজের একাগ্রতা প্রকাশ করেন তিনি। মাঝে মাহি কাজ করেন ‘প্যাসেঞ্জার’ শীর্ষক একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে।
সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া ছবির প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘ময়ূরাক্ষী’ ছবিতে আমি একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। যারাই জিজ্ঞাসা করছে তাদের কাছে উল্টো জানতে চাচ্ছি আমার কাজ কেমন লেগেছে। সবাই ভালো বলছে। আমার চরিত্র নিয়ে তারা খুশি। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে তার অভিনীত টেলিফিল্ম ‘বিষণ্ণ সন্ধ্যার ডায়েরি’।
কাজটি প্রসঙ্গে তিনি জানান, গত রোজার ঈদে টেলিফিল্মটি প্রচার হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে টেলিফিল্মটি ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়নি। অতঃপর গত ৬ আগস্ট পরিচালক হাবিব তার ইউটিউব চ্যানেলে টেলিফিল্মটি অবমুক্ত করেন। তারপর থেকে সামাজিক মাধ্যমে দর্শকরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। অন্য ধরনের কাজ বলে তারা পছন্দ করেছেন। আসলে সবারই এক কথা, আমাকে নিয়মিত পর্দায় দেখতে চান। দর্শকের চাওয়া মেনে এ গ্ল্যামারকন্যা কাজে নিয়মিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন নাটকে নিয়মিত কাজ করছি। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করছি। চেষ্টা করছি সব মাধ্যমে ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে। অন্যান্য কাজের খবর জানিয়ে মাহি বললেন, সামনে বেশ কয়েকটি কাজ আসবে। যার মধ্যে আছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সাব্বির মাহমুদের জিজি (গ্ল্যামার গার্ল) ও রাজিব সালেহীনের অ্যান্থলজি ফিল্ম ‘যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ’। এ ছবিতে গিয়াস উদ্দিন সেলিম আমার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া ফিকশন আসবে বেশ কিছু। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। যার আঁচ লেগেছে মাহির কাজের অঙ্গনেও।
নতুন এ সরকারের কাছে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি বললেন, মিডিয়ার বিভিন্ন সেক্টরে সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন। সেন্সর বোর্ডের কিছু সমস্যা আছে। সিনেমা আটকে দেওয়া হয়। মুক্তিতে বাধা প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা দরকার। নির্মাতা ও লেখকদের কাজের স্বাধীনতা প্রত্যাশা করছি। নিজেদের গল্প যেন তারা নির্ভয়ে বলতে পারে। পাশাপাশি অভিনয়শিল্পীরাও ভয় না পেয়ে কাজ করতে পারবে এমন একটি পরিবেশের প্রত্যাশা রয়েছে।