
তারকাদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে ব্যক্তিগত আক্রোশ। ছবি: সংগৃহীত
শোবিজে তারকাদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে ব্যক্তিগত আক্রোশ। এ তারকাদের মধ্যে আছেন সংগীতশিল্পী, নাট্যশিল্পী ও সিনেমার জনপ্রিয় মুখগুলো। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় চোখ রাখলেই সেটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একে অপরের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ফেসবুক পোস্ট ও বিভিন্ন জনের পোস্টের কমেন্টে।
অনেকেই এটিকে শোবিজের জন্য মারাত্মক অশনিসংকেত হিসেবে দেখেছেন। একটা সময় সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে পারস্পরিক যে সম্পর্ক, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ ছিল তা এখন তেমন নেই। একজন উঠতি তারকাও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করছেন তার এক যুগ আগে আসা তারকার। যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন ন্যায়-অন্যায়ের। বিশেষ করে ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই এ আক্রোশ বাড়ছে।
সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস, রিয়াজসহ আরও অনেকে গা-ঢাকা দেন। সামাজিক মাধ্যমে এদের নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অন্য তারকারাও সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয় শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’। গ্রুপের স্ক্রিনশট ফাঁস যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু শিল্পীর জন্য। তাদের নিয়ে সর্বত্র চলছে সমালোচনার ঝড়। এর রেশ ধরে সাধারণ শিল্পী ও আরও অনেকের আক্রোশের মুখে আছেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবা, সাজু খাদেম, জ্যোতিকা জ্যোতি, ভাবনাসহ এক ঝাঁক মুখ। কেউ কেউ এদের শাস্তির দাবিও করছেন। এদিকে পিছিয়ে নেই সংগীতশিল্পীরাও।
অনেকের ফেসবুক পোস্টের কমেন্টস বক্সে দেখা যায় কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নিকে কেউ কেউ বিগত সরকারের দালাল বলছেন। গান বাংলার নিয়মিত শিল্পীদের নিয়েও অনেকের আক্রোশ দেখা যায়। গান বাংলার হয়ে যে সব শিল্পী নিয়মিত গান করতেন তাদের নিয়েও সামাজিক মাধ্যমে অনেক সমালোচনার পোস্ট এরই মধ্যে দেখা গেছে। শোবিজ সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের অন্য সব সেক্টরের মতো এ অঙ্গনেও গেল পনেরো বছর নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। কেউ কেউ দলীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অন্যরা তাদের ক্ষোভ ও আক্রোশের মাধ্যমে সে সব প্রকাশ করছেন।