
অভিনেত্রী ফারিহা শামস সেওতি। ছবি: সংগৃহীত
অভিনেত্রী ফারিহা শামস সেওতি। বেছে বেছে কাজ করেন তিনি। তার কাজের সংখ্যা কম হলেও যা করেছেন সবই মানসম্মত। সম্প্রতি তাকে দেখা গেছে ভিকি জাহেদের ওয়েব ফিকশন ‘একটি খোলা জানালা’তে। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রূপদান করেছেন তিনি।
‘একটি খোলা জানালা’ ফিকশনে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে সেওতি বললেন, আমি ‘সালমা’ চরিত্রে অভিনয় করেছি। চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্র। সে সব সময় মাতাল থাকে। সে বিভিন্ন গল্প বানায়। যা হয়তো সত্য নয়। তা দিয়ে সবাইকে ভয় দেখায়। আমার জন্য কঠিন কাজ ছিল। কাজটা দেখার পর মনে হলো আরেকটু ভালো করা যেত। এ সিরিজের জন্য দর্শকের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন সেওতি।
তিনি জানালেন, দর্শক মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রামে টেক্সট দিচ্ছে। তাদের ভালো লাগার কথা জানাচ্ছে। বুঝতে পারছি ভালো করেছি। অন্যান্য কাজের খবর জানিয়ে অভিনেত্রী বললেন, আমি কিছু বিজ্ঞাপনের কাজ শেষ করেছি। তার মধ্যে রয়েছে কুমারিকা, বায়োজিন ইত্যাদি। আরও কিছু বিজ্ঞাপনের কথা রয়েছে। পাশাপাশি ওটিটিতে কাজের কথাও হচ্ছে। সেওতি যোগ করলেন, ইতোমধ্যে আকরাম খানের সিনেমা ‘নকশী কাঁথার জমিন’, রায়হান রাফির ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’, টিটো রহমানের ওয়েব ফিল্ম ‘বিভাবরী’র কাজ শেষ করেছি। এগুলো শিগগির মুক্তি পাবে। কাজগুলো প্রসঙ্গে সেওতি বললেন, যে কাজগুলো করলাম সেগুলো একটি অন্যটির চেয়ে আলাদা। ‘নকশী কাঁথার জমিন’ সিনেমায় একজন বিধবা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। চল্লিশ থেকে সত্তর দশকের গল্প। ‘অমীমাংসিত’ ফিকশনে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের একটি চরিত্রে রূপদান করেছি। আবার ‘বিভাবরী’র চরিত্রটিও আলাদা। নেতিবাচক একটি চরিত্র। এমনকি বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজগুলোও ব্যতিক্রমধর্মী। সেওতিকে নিয়ে গুঞ্জন-তিনি দেশে থাকেন কম। কুয়েতেই থাকেন বছরের বেশিরভাগ সময়।
সে প্রসঙ্গ তুলতেই মিষ্টি হাসি দিয়ে তিনি বললেন, ‘আমি এখন দেশেই থাকছি। কাজ করছি। মাঝে এক মাসের জন্য কুয়েত যাই। আবার ফিরে আসি।’ সবশেষে সেওতি বললেন, ভালো কাজ করতে চাই। অনেক গুণী নির্মাতা আছেন। তাদের সঙ্গে কাজের ইচ্ছে আছে। স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে কাজের প্রত্যাশা।