‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট- সংকট উত্তরণে জরুরি সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটের সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংগঠন বিসিটিআই ফিল্ম ক্লাব এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় ১৩ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট সংস্কারের লক্ষ্যে ১৩ দফা দাবি পেশ করা হয়। 

সভায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছাড়াও স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক, সমালোচক, শিক্ষক, ফিল্ম সোসাইটির প্রতিনিধি ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

‘বিসিটিআই ফিল্ম ক্লাব’ আয়োজিত আজকের এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালায় এর আওতাধীন সার্চ কমিটির সদস্য সাইদুল আলম খান, বরণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহউদ্দিন শাকের, মানজারে হাসিন মুরাদ, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, মুহাম্মদ কাইয়ুম, আকরাম খান, চিত্রগ্রাহক পঙ্কজ পালিত, শব্দগ্রাহক নাহিদ মাসুদ, চলচ্চিত্র লেখক ও সমালোচক মইনুদ্দিন খালেদ, বিধান রিবেরু, সাদিয়া খালিদ ঋতি, সাজেদুল ইসলাম, শেখর দাশ , চলচ্চিত্র গবেষক মীর শামসুল আলম বাবু, ঢাকা ডকল্যাবের পরিচালক তারেক আহমেদ বঙ্গ বিডির হেড অব কন্টেন্ট আলী হায়দার এবং বিসিটিআই এর প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সহ আরও অনেকে। তাছাড়াও অনলাইনে যুক্ত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমেদ সায়মন, দেবাশীষ ডুবসহ আরও অনেকে।

সভায় বক্তারা জাতীয় চলচ্চিত্রের বৈশিষ্ট্য ও স্বরূপকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের সামগ্রিক চলচ্চিত্র শিল্পকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে বিসিটিআইকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি বিসিটিআইকে একটি আমলা নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান থেকে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন বক্তারা। 

চলচ্চিত্র শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টিও বিশেষ স্থান পায় আলোচনায়।