
শাকিব খান। ছবি: সংগৃহীত
২০২৩
সালের ২৭ মার্চ ঢাকার
সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন
চিত্রনায়ক শাকিব খান। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল
মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে প্রতিবেদন
দাখিলের নির্দেশ দেন।
ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি রহমত উল্লাহ বাদী শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে ও ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সিডিউল না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ করেন। আসামি আক্রমনাত্মক, মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করে শাকিবকে সামাজিকভাবে অপমান অপদস্ত ও হেয়প্রতিপন্ন করেন। আসামি নিজেকে প্রযোজক হিসাবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারনার উদ্দেশ্যে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করে শাকিবের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন।
এদিকে
প্রযোজক মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে
শাকিব খানের আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে
সত্য বলে প্রমাণিত হয়নি।
পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)
দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ
করা হয়েছে।
বাদীপক্ষ
নারাজির আবেদন করলেও তদন্তে পর্যাপ্ত উপাদান না থাকায় ঢাকার
সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার
হায়াত এই মামলাটি খারিজ
করে দেন। এতে প্রযোজক
রহমত উল্লাহ মামলার দায় থেকেও অব্যাহতি
পেয়েছেন। তবে এ মামলার
পুনরায় তদন্ত চেয়ে উচ্চ আদালতে
যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন শাকিবের
আইনজীবী।
আদালত
সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত
করে চলতি বছরের ২৪
এপ্রিল মমামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই’র
পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে মোহাম্মদ রহমত
উল্লাহের বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগ ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর
২৪/২৫/২৯ ধারার
অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়নি
বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পরে
এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজীর আবেদন করেন শাকিবের আইনজীবী
খায়রুল হাসান।
তিনি
বলেন, ‘এই মামলার নারাজীর
ধার্য তারিখে সময়ের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে পিবিআইয়ের তদন্ত
প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মামলাটি খারিজ করে দেন। এই
আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।’