
জেনিফার লোপেজ। ছবি: সংগৃহীত
জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের প্রেমের কাহিনি অন্যদের চাইতে বেশ আলাদা। ২০০২ সালে প্রথম দেখা হয় তাদের, তারপর প্রেমের সম্পর্কেও গড়ায়। কিন্তু ২০০৪ সালেই বিচ্ছেদ ঘটে এই জুটির। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর পুরনো সঙ্গীর কাছেই ফিরে আসেন একে অপরে। সে কারণেই ভক্তদের প্রশংসায়ও ভাসে এ জুটি।
২০২২ সালের মাঝামাঝিতে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এটি ছিল জেনিফারের চতুর্থ বিয়ে এবং বেনের দ্বিতীয়। কিন্তু সে বিয়েও তাদের টিকল না। প্রায় এক মাস আগেই বিচ্ছেদের ঘোষণা আসে তাদের। এ বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। আর সেসব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন জেনিফার। বিশ্বনন্দিত এই কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী কেন তার সংসার টিকিয়ে রাখতে পারছেন না? চতুর্থবার বিয়ে করেও কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হলো? এ প্রশ্ন এখন অনুরাগীদের অনেকের। তাই বিচ্ছেদ নিয়ে এবার সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন জেনিফার। অভিনেত্রীর কথায়, পুরনো প্রেমকে পরিণয়ে রূপ দিতেই দুই দশক পর এক হয়েছিলাম আমি আর বেন। ভেবেছিলাম, এবার জীবন সুখের স্রোতে বইতে থাকবে। কিন্তু সেই ভুল ভেঙেছে তখনই, যখন বুঝতে পেরেছি, আমি আর বেন আসলে দুই মেরুর বাসিন্দা।
তিনি আরও বলেন, ‘একজীবনে অনেক মানুষের দেখা মেলে, যাদের সঙ্গে পথ চলতেও ভালো লাগে। মনে হয়, দুজনে মিল গেলে জীবনটা আরও আনন্দময় হয়ে উঠবে। আমার বেলায়ও সেটাই হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই দেখা গেছে, সম্পর্ককে পরিণয়ের পথে নিয়ে যাওয়ার পর সেটা এলোমেলো হয়ে গেছে। কারণ একটাই, উভয়ের চিন্তাধারা বিস্তর তফাত। তাই একসঙ্গে একই ছাদের নিচে বসবাসও এক সময় বিষাদী হয়ে উঠেছে। ওজানি নোয়া, ক্রিস জাড, মার্ক অ্যান্থনি থেকে বেন অ্যাফ্লেক কেউই দাম্পত্য জীবনের গল্পে নতুন কিছু সংযোজন করতে পারেননি।’
জেনিফার তার সাক্ষাৎকারে এও স্বীকার করেছেন যে, প্রতিবারই বিচ্ছেদের পর মানসিক আঘাত পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় আঘাতটা এসেছে বেনের সঙ্গে সম্পর্কছেদ করা নিয়ে।