
অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহের সকালে ঢাকা শহরে হিম হিম ভাব থাকে। রাজশাহীতে তো আরও বেশি। অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের সঙ্গে যখন আলাপ হলো তখন তিনি রাজশাহীতে। কী কাজে এসেছেন জানতে চাইলে বিস্তারিত বলতে চাইলেন না। এটুকু নিশ্চিত করলেন একটি প্রজেক্টের শুটিংয়ে এসেছেন।
সদ্য শেষ হওয়া শারদ উৎসবে আলোচনায় এসেছেন নওশাবা। তার নিজের সংগঠন ‘টুগেদার উই ক্যান’। এ সংগঠনের ব্যানারে মঞ্চনাটকসহ কিছু জনসচেতনতামূলক কাজ করেছেন তিনি। গেল কয়েক বছরের মতো এবারও নিজের সংগঠনের সহায়তায় দুর্গার রূপ নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। সঙ্গে ছিল মোমেন্টওয়ালা। নওশাবা বললেন, প্রতিটি নারীর মধ্যে দুর্গার শক্তি রয়েছে। সমাজের সঙ্গে তাল মেলানো থেকে শুরু করে অন্যায়ের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ নারীদের সব করতে হয়। আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরও বড় পরিসরে বিষয়টি তুলে ধরার। সে জন্যই সমুদ্রকে বেছে নেওয়া। আমাদের ভাবনার সঙ্গে ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান মোমেন্টওয়ালার ভাবনা মিলে যায়।
নওশাবা দম নিয়ে যোগ করলেন, আমরা সব সময় মানুষের কথা বলি। শিল্পীদের কথা বলি। প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়ার কথা বলি। আমাদের প্রতিটি থিয়েটারে পারফর্ম করেছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা। আমরা বোঝাতে চাই প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে। দুর্গার মাধ্যমে পুরো মানবজাতিকে বুঝিয়েছি। প্রকৃতি সকলের।
‘দুর্গার সমুদ্র’ শীর্ষক স্থিরচিত্রের অ্যালবামে নওশাবা জানিয়েছেন সম্প্রীতি ও ভালোবাসার আহ্বান। ত্রিশূল হাতে তিনি সব ধর্মের সম্প্রীতি, সমুদ্রের দূষণ, দুর্গার মাতৃরূপ, অসহায়ের সহায়, ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি বললেন, মায়া অ্যাঞ্জেলোর ‘অ্যান্ড স্টিল আই রাইজ’ কবিতা আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে প্রকটভাবে। এ কবিতা পড়ে মনে হতো আমিও ঘুরে দাঁড়াব।
আগামীর পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, আমরা কষ্ট করে কাজ নামাই। থিয়েটার করতে চাই। একজন আর্টিস্ট সারাদিন কেন ভলান্টিয়ারের কাজ করবে? এটি ওপেন প্ল্যাটফর্ম। অন্যান্য পেশার বন্ধুরাও আছে আমাদের সঙ্গে। কতকিছু করবার চিন্তা যে মাথায় আছে।
প্রসঙ্গত নওশাবা বর্তমানে নবগঠিত সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের অন্যতম সদস্য। সে ব্যস্ততার মাঝে এক খ- অবসর বের করে প্রকৃতিকে নিয়ে কথা বলছেন নিজের মতো করে।