এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা ফারিন খান। সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে পা রাখলেও তার বর্তমান ব্যস্ততা ছোটপর্দায়। চুটিয়ে নাটকে কাজ করছেন। মুক্তির অপেক্ষায় তার তিনটি সিনেমা। তার দেখা মিলছে ওয়েব ফিকশনে। নিজের কাজ ও অন্যান্য বিষয়ে আলাপ করেছেন এ গ্ল্যামারকন্যা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারেক মোহাম্মদ।

ইদানীং নাটকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন?

আমার তিনটি ফিল্ম ফেসবুক, প্ল্যানার ও মায়ার শুটিং ও ডাবিং শেষ করেছি। তবে কবে মুক্তি পাবে সেটা বলতে পারছি না। এ পরিস্থিতিতে নিয়মিত নাটক করছি। ফিল্ম নিয়ে নতুন করে ভাবছি না। মুক্তিপ্রাপ্ত সব নাটকের মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘সুইচ’ দুই দিনে পাঁচ লাখ ভিউ হয়ে গেছে। সোহেল মন্ডলের সঙ্গে করা আরেকটি নাটক ‘কালো ছেলে’ প্রায় আড়াই মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। শাশ্বতর সঙ্গে দুটি নাটকেই হয়েছে মিলিয়ন ভিউ। সব মিলিয়ে নাটকে ভালো সাড়া মিলছে। সামনে মুশফিক ফারহানের সঙ্গে তিনটি কাজ আসবে। 

আপনার সঙ্গে কার জুটি গড়ে উঠছে?

মজার ব্যাপার হলো আমার সঙ্গে প্রায় সব নায়কের কাজ হয়েছে। ইদানীং সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে জুটি দর্শক ভালোভাবে নিয়েছে। ফারহানের সঙ্গে দুটো কাজের প্রতিক্রিয়া ভালো ছিল। এরপর বাকি কাজগুলো এলে জুটি গড়ে উঠত। শাশ্বতর সঙ্গে করা কাজগুলোও ভালো চলছে। একটি ফিকশনে পাঁচ জন ছিল আমার বিপরীতে। বলতে গেলে সবার সঙ্গেই দর্শক আমাকে গ্রহণ করছে।

ওটিটিতেও আপনাকে দেখা যাচ্ছে ...

হ্যাঁ, দীপ্ত প্লের ওয়েব ফিল্ম ‘ত্রিভুজ’-এ অভিনয় করেছি। এ কাজটি নিয়েও ভালো প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। আমি ‘মলি’ চরিত্রে অভিনয় করেছি। ভিন্নধর্মী চরিত্র। সে মানবিক একজন মেয়ে। পরিস্থিতির জন্য তাকে গুটিয়ে নিতে হয়েছে। সে একটি বাচ্চার জন্য স্ট্রাগল করে। বাচ্চার মুখ দেখতে চাওয়াই ছিল তার জীবনের লক্ষ্য। আমাদের সমাজে এমন চরিত্র দেখা যায়। তিনটি পরিবারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। সামাজিক গল্পে দ্রুত সাড়া পাওয়া যায় না। এসব কাজ টিকে থাকে। দর্শক অনেক বছর ধরে দেখে। এটি এমন একটি কাজ যেটি পরিবারের সঙ্গে দেখা যাবে। 

সিনেমা, ওটিটি ও নাটক কোন মাধ্যমে ফোকাস করছেন?

আমি অভিনয়ে ফোকাসড। নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম নিয়ে চিন্তা করছি না। নিয়মিত কাজ করতে চাই। সে যে প্ল্যাটফর্মই হোক। এমনটি পথনাটক হলেও কাজ করব। 

মডেলিং করছেন না?

আমি এক সময় র‌্যাম্পে কাজ করেছি। প্রায় সকল বড় বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করা হয়ে গেছে। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসে সব ধরনের কাজ করা অসম্ভব। আমাকে সংশ্লিষ্টরা বিশেষ ইভেন্ট ছাড়া চিন্তা করতে পারে না। তাই মাঝে মাঝে মডেলিং করছি। এ ছাড়া টিভিসি ওভিসি তো করা হচ্ছেই।

সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। যার আঁচ এসেছে বিনোদন অঙ্গনে। বদলে গেছে সিনেমার সেন্সর বোর্ড। এসেছে সার্টিফিকেশন বোর্ড। কী প্রত্যাশা করছেন?

প্রত্যাশা করলে কষ্ট পেতে হয়। তাই ব্যক্তিগত জায়গা থেকে কোনো প্রত্যাশা করছি না। একজন শিল্পী হিসেবে অনুরোধ করব- ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন করুন। আমি বিশ্বাস করি সততার সঙ্গে কাজ করলে সবকিছু দুর্নীতিমুক্ত হবে।