
অভিনেতা টম হ্যাংকস। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে ১ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে ‘ফরেস্ট গাম্প’ খ্যাত অভিনেতা টম হ্যাংকসের নতুন চলচ্চিত্র হেয়ার। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ফরেস্ট গাম্পের নির্মাতা রবার্ট জেমেকিসের ও অভিনেত্রী রবিন রাইটের সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর পর একসঙ্গে কাজ করলেন তিনি।
হেয়ার চলচ্চিত্রটি খুব সরল গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। একটি একক বাড়ির ইতিহাস ও এর বাসিন্দারা গল্পের উপজীব্য। চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালে প্রকাশিত রিচার্ড ম্যাকগুয়েরে উপন্যাসকে ভিত্তি করে নির্মিত। উপন্যাসটি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম এনপিআরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘উপন্যাসটির গল্প বোঝার জন্য আমাকে চারবার পড়তে হয়েছে। পড়া শেষ করার পর মনে হলো, আমার মাথা বিস্ফোরিত হয়ে যাবে।’
তবে মুক্তির পরে ফরেস্ট গাম্পের মতো সাড়া জাগাতে পারেনি হেয়ার। ২ নভেম্বর পর্যন্ত ১ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। অথচ চলচ্চিত্রটি বানাতে খরচ হয়েছে ৪৫ মিলিয়ন ডলার। ছবিটি নির্মাণে কৃত্রিম বুত্তিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করেছেন নির্মাতা রবার্ট জেমেকিস। মূলত টম হ্যাংকস ও রবিন রাইটের বয়স কমিয়ে দেখাতে এআই ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হ্যাংকস বলেন, ‘ধরুন, সকালেই আপনার বয়স ১৭ বছর আবার বিকেলেই ২২ বছর।’
চলচ্চিত্রটির জটিল নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেমেকিস বলেন, ‘আর পাঁচ বছর আগে হলেও এই চলচ্চিত্রটি আমরা বানাতে পারতাম না। আমার সিনেমাটোগ্রাফারও বলেছিলেন, আমার সঙ্গে করা সবচেয়ে কঠিন চলচ্চিত্র এটি।
তিনি জানান, হেয়ার চলচ্চিত্রটি নির্মাণের জন্য যুক্তরাজ্যে ৩৩ দিনের জন্য স্টুডিও ভাড়া করা হয়েছিল। সেখানে দুটি সেট ছিল। একটিতে দৃশ্যগ্রহণের সময় আরেকটির সেট প্রস্তুত করা হতো।