শাকিব খানের দরদ সিনেমার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
গত দুই বছর ঈদের সিনেমা মানেই শাকিবের বাজিমাত। ‘প্রিয়তমা’ সিনেমা দিয়ে তার ক্যারিয়ার নতুন মোড় নেয়। সর্বশেষ গত ঈদে ‘তুফান’ সিনেমা দিয়ে সব ছাপিয়ে যান তিনি। দেশের বাইরেও দারুণ প্রশংসিত হয় তার লুক ও অভিনয়। রায়হান রাফি পরিচালিত এই সিনেমাটি শাকিবকে নতুনভাবে দর্শকের সামনে নিয়ে আসে।
প্রায় চার বছর পর ঈদের বাইরে সিনেমা নিয়ে এলেন ঢাকাই সিনেমার কিং খান। আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ৮৪ হলে মুক্তি পেল তার অভিনীত ‘দরদ’ সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন অনন্য মামুন। সিনেমাটিতে শাকিবের বিপরীতে আছেন বলিউডের সোনাল চৌহান। শুরু থেকেই সিনেমাটি নানা কারণে বেশ আলোচনায় আসে।
একদিকে শাকিবের সঙ্গে বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা। অন্যদিকে প্রথম বাংলাদেশি নায়ক হিসেবে প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমার নায়ক হলেন শাকিব। এ ছাড়া প্রথম থেকেই বলা হচ্ছে, সাইকো থ্রিলার গল্পের ‘দরদ’ সিনেমাটি বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালয়ালাম ও কর্ণাটক- এই ছয়টি ভাষায় মুক্তি পাবে। এ কারণেও সিনেমাটি নিয়ে শুরুতেই দর্শকের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়।
এদিকে নির্মাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন চমকের কথা বলেও সিনেমাটির দিকে সবার আগ্রহ তৈরি করেন। সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে পশ্চিমবঙ্গের এসকে মুভিজ, বাংলাদেশের অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট এবং মুম্বাইয়ের ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ। তবে শেষ মুহূর্তে এসে সিনেমাটির প্রচার-প্রচারণা থমকে যায় বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেন। আওয়াজহীন হয়ে পড়েছে সিনেমাটি।
দরদের শুটিংয়ের সময় থেকে ভিন্ন ঘরানার প্রচারের কথা জানিয়েছিলেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঈদ ছাড়াই উৎসবের আমেজ তৈরি করবে ‘দরদ’- এমন আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত। সে সময় বলা হয়েছিল টিজার প্রকাশ করা হবে বুর্জ খলিফায়। শাকিব ভক্তদের নিয়ে বিশাল আয়োজন করে প্রকাশ করা হবে ট্রেলার। তবে ঘোষণার কিছুই বাস্তবে প্রতিফলিত না হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েন অনন্য মামুন। এদিকে শাকিব বর্তমানে ভারতে তার ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এটি পরিচালনা করেছেন মেহেদি হাসান হৃদয়।